Last Updated: February 4, 2012 10:53

'টু বি, অর নট টু বি'! শনিবারের বারবেলায় পাটিয়ালা হাউসের বিশেষ সিবিআই আদালতের সম্ভাব্য রায় নিয়ে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে আপাতত এটাই 'দ্যাট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন'!
অভিযোগকারী তরফের বক্তব্য, ২০০৮ সালের টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে আন্দিমুথু রাজার পাশাপাশি তত্কালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পালানিয়প্পন চিদম্বরমও দায়ী। বৃহস্পতিবার স্পেকট্রাম বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ মেনে ১২২টি লাইসেন্স বাতিল করলেও চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হবে কি না, তা নিয়ে কোনও রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক ও পি সাইনির এজলাসে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে রায় দিতে হবে নিম্ন আদালতকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, আজই আসতে পারে সেই ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদেরও ধারণা, সিবিআই আদালত শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা থাকবে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে। আর সে ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের প্রাকমূহূর্তে প্রবল বিড়ম্বনায় পড়বে কংগ্রেস। বস্তুত, বিজেপি সহ গোটা বিরোধী শিবির এখন অধীর আগ্রহে এই প্রতীক্ষাতেই রয়েছে।
অন্য দিকে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনায় প্রবল চাপে থাকা কংগ্রেস শিবিরে চলছে উত্কণ্ঠার প্রহর গোনার পালা। তবে ২৪ আকবর রোডের পরিচালকদের সামনে আশার আলো একটাই- ২ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জি এস সিংভি ও বিচারপতি অশোককুমার গাঙ্গুলিকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানায়, স্পেকট্রাম বিলির ব্যাপারে চিদম্বরমের সঙ্গে তৎকালীন টেলকমমন্ত্রী এ রাজা আলোচনা করেছিলেন, এমন কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ বিচারবিভাগের সামনে পেশ করতে পারেনি অভিযোগকারী পক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্যটুকু হাতিয়ার করেই 'বেনিফিট অফ ডাউট'-এর আশা দেখছে চিদম্বরম শিবির।
First Published: Saturday, February 4, 2012, 11:23