Last Updated: October 18, 2013 09:20

বাতাসে মিশে রয়েছে বিষ। প্রতি নিঃশ্বাসই হয়ে উঠছে ক্যান্সারের কারণ। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাতাসে দূষণের পরিমাণ এতটাই বেশি যে ২০১০-এ গোটা বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে ২লক্ষ ২৩ হাজার মানুষের।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বায়ুদূষণের জেরে বাড়ছে হৃদরোগ, ব্লাডার ক্যান্সারের সম্ভাবনা। তামাক সেবনকেই ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম বড় কারণ বলে থাকেন চিকিত্সকরা। কিন্তু তামাক সেবনের থেকেও আরও ভয়ঙ্কর কারণ রয়েছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মনে করছে বাতাসে দূষণের মাত্রা এতটাই ভয়ঙ্কর যে তাতেই রয়েছে ক্যান্সারের বীজ। প্রতিবার নিঃশ্বাস নেওয়া মানেই ক্যান্সারের দিকে একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়া। এমনটাই মত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার।
বায়ুদূষণের গভীরতার কথা মাথায় রেখে বাতাসকে কারসিনোজেনিক হিসেবে গন্য করা উচিত বলে জানিয়েছে হু। যানবাহন, বিদ্যুত্ উত্পাদন কেন্দ্র,কলকারখানা, কৃষিকাজের জন্য চালিত পাম্প এমনকী রান্না থেকেও দূষিত হয় বাতাস। বাতাসের মধ্যে মিশে থাকে ধাতু কণা, ধুলো, ডিজেল ইঞ্জিনের ধোঁয়া, রাসায়নিক দ্রবণ সহ আরও কত কী! এসবের ফলে বাতাস হয়ে উঠেছে বিপদজ্জনক।
ক্যান্সার গবেষণার আন্তর্জাতিক সংস্থার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে ২০১০-এ বিশ্বে ২ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে ফুসফুসের ক্যান্সারে। শুধু তাই নয় বায়ুদূষণের মাত্রা এতটাই বেশি যে হৃদরোগ, ব্লাডার ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যাও কেবল বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে থাকা ক্যান্সার গবেষণার আন্তর্জাতিক সংস্থার ডিরেক্টর ক্রিসটোফার ওয়াইল্ড মনে করেন বায়ুদূষণই ফুসফুসের ক্যান্সার ঘটানোর অন্যতম বড় কারণ হয়ে উঠেছে, সেটা জানানোই যে কোনও দেশের সরকারকে সতর্ক করার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ।
First Published: Friday, October 18, 2013, 09:20