Last Updated: December 20, 2013 21:55

ইন্টার্নকে যৌন হেনস্থার ঘটনায় অশোক গাঙ্গুলিকে প্রাথমিকভাবে দোষী মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল জি ই বাহানবতী। এই মর্মে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে তিনি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর।
গতকালই রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে অশোক গাঙ্গুলিকে সরানোর আইনি তত্পরতা শুরু হয়। তাঁর অপসারণের জন্য প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স চাইতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেজন্য অ্যাটর্নি জেনারেল জি ই বাহানবতীর কাছে কাগজপত্র পাঠানো হয়।
এর আগে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বাল জানান নিজে থেকে পদত্যাগ না করলে, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেন। বিজেপির পর এবার ইস্তফার দাবিতে সরব হন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বল৷ তবে চাপের মুখে অটল অশোক গাঙ্গুলি। জানিয়ে দিলেন ইস্তফা দেবেন না। জানিয়ে দিলেন অশোক গাঙ্গুলি। সুপ্রিমকোর্টে দেওয়া জবানবন্দি কীভাবে ফাঁস হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করবেন কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কেউ তাঁর কথা শুনছে না। তাঁর কিছু করার নেই। জবানবন্দি ফাঁস নিয়ে মুখ খুলেছেন ইন্দিরা জয় সিংও। তাঁর মতে, অনেকেই অশোক গাঙ্গুলির হয়ে সওয়াল করেছেন। ফলে নিগৃহীতার অভিযোগটাই চাপা পড়ে যাচ্ছিল। তাই জবানবন্দি ফাঁস করা ছাড়া কোনও পথ ছিল না।
প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অশোক গাঙ্গুলি। ভবানী ভবনে মূল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাল আইনজীবীদের সংগঠন লিগাল এইড ফোরাম। ভবানী ভবনেই মানবাধিকার কমিশনের অফিস। প্রায় চার ঘণ্টা এই বিক্ষোভ চলে।
বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ অশোক গাঙ্গুলিকে পুলিসি পাহারায় অফিস ছাড়তে হয়। লিগাল এইড ফোরামের দাবি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অশোক গাঙ্গুলিকে ইস্তফা দিতে হবে বা তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। ফোরামের হুঁশিয়ারি, দাবি মানা না হলে অশোক গাঙ্গুলি যেখানে যাবেন সেখানেই তারা বিক্ষোভ দেখাবে।
এর আগে আদালতে দেওয়া নিগৃহীতার জবানবন্দি প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ইন্দিরা জয়সিং। এর ফলে সামনে চলে এসেছে বেশকিছু বিস্ফোরক অভিযোগ। সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে ছাপা ওই জবানবন্দি অনুযায়ী, ঘটনার দিন হোটেলের ঘরে নিজে মদ্যপান করেছিলেন অশোক গাঙ্গুলি। তাঁকেও মদ্যপানের জন্য বারবার তিনি চাপ দিচ্ছিলেন। তাঁর সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষিত হয়েছেন বলেও বারবার দাবি করছিলেন সুপ্রিমকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি।
অশোক গাঙ্গুলির ব্যবহারে অস্বস্তি হওয়ায় তাঁর থেকে দূরত্ব রাখার চেষ্টা করছিলেন তিনি। দাবি নিগৃহীতার। তিনি বলেছেন, আচমকাই তাঁর হাত টেনে ধরে অশোক গাঙ্গুলি বলতে শুরু করেন তিনি তাঁকে কতটা ভালবাসেন। সরে যাওয়ার চেষ্টা করায় হাতে চুম্বন করে ভালবাসার কথা বারবার বলতে থাকেন অশোক গাঙ্গুলি।
First Published: Friday, December 20, 2013, 21:58