Last Updated: November 26, 2013 10:11

আরুষি হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত রাজেশ ও নুপূর তলোয়ারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। সিবিআই আরুষির বাবা-মায়ের মৃত্যুদণ্ডাদেশ চাইলেও তা দেয়নি আদালত। আদালতের মতে, এই অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। ফলে সিবিআইয়ের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। রাজেশের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুন, ৩৪ নম্বর ধারায় একই উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া, ২০১ ধারায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং ২০৩ ধারায়--মিথ্যা এফআইআর দায়েরের অভিযোগ আনা হয়েছিল। গতকালই দু'জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ সিবিআই আদালত। সিবিআইয়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তলোয়ার দম্পতি। যে অপরাধ তাঁরা করেননি সেই অপরাধেই তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজেশ ও নুপূর তলোয়ার। সিবিআই আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করবেন তলোয়ার দম্পতি।
সিবিআই আদালতের রায়ে খুশি নন আরুষির বান্ধবী ফিজা ঝা। তাঁর মতে সঠিক বিচার পাননি তলওয়ার দম্পতি। এর জন্য পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, হাইকোর্টের যাওয়ার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তলওয়ার দম্পতি।
পাপ কাউকে ছাড়ে না। পাপের ফল ভুগছেন তলওয়ার দম্পতি। রায়ের পর মন্তব্য প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর যোগিন্দর সিংয়ের। তলোয়ার দম্পতির মৃত্যুদণ্ড দিলেও আহামরি কিছু হত না বলে মন্তব্য করেন প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর।
অভিযোগ, পরিচারক হেমরাজের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলাতেই আরুষি তলোয়ারকে খুন করেন তলোয়ার দম্পতি। তবে আরুষির বাব-মা এই অভিযোগ খারিজ করে দেন। প্রথমে উত্তরপ্রদেশ পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরে সিবিআই হাতে চলে যায় এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার।
এই মামলা নিয়ে জটিলতা কম হয়নি। ২০১২ সালের ১১ জুন তলোয়ার দম্পতিকে মূল অভিযূক্ত করে এই মামলার বিচারপর্ব শুরু হয়।
First Published: Tuesday, November 26, 2013, 18:18