Last Updated: March 27, 2014 09:02

বদলাতে চেয়েছিলেন ভাঙড়ের ইতিহাস। চেয়েছিলেন দলে শান্তি, শৃঙ্খলা। কিন্তু হল তার উল্টোটা। ভাঙড়ে প্রথম দিন প্রচারে গিয়েই দলের গোষ্ঠীকোন্দলের সাক্ষী হলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুগত বসু। তাঁর সামনেই আরাবুল-কাইজার গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে চলল মারামারি।
সিপিআইএম প্রার্থী হয়েও তৃণমূলের অন্দরের ছবিটা তিনিই ভাল বুঝেছিলেন। সুজন চক্রবর্তীর ভবিষ্যতবাণী সত্যি হল বুধবার।
ভাঙড়ে তৃণমূল প্রার্থী সুগত বসু এদিন প্রথম বার প্রচার করেন।
ভাঙড় দু-নম্বর ব্লকের কাঁঠালিয়ায় উজ্জ্বল সংঘের মাঠে প্রথমে ছিল কর্মিসভার কর্মসূচি। সুগত বসু ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মণীশ গুপ্ত এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সেখান থেকেই আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ, তৃণমূলের এই দুই বিবাদমান গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি শুরু। কার হাতে থাকবে মিটিং-মিছিলের রাশ? এনিয়েই দ্বন্দ্ব।
প্রথম পর্বে, এই অঞ্চলের দাপুটে নেতা আরাবুলের সামনে মঞ্চে কার্যত পাত্তা পাননি কাইজার আহমেদ।
সভা শেষ হতে না হতেই কাইজার সমর্থকদের হাতে কার্যত হাইজ্যাক হয়ে যান সুগত বসু। আরাবুল অনুগামীদের ঘেঁষতে না দিয়েই শুরু করে দেওয়া হয় মিছিল। প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলাতে দেখা যায় কাইজার আহমেদকে।
একটা সময় দেখা মেলে আরাবুল ইসলামেরও। একরকম জোর করে তাঁকে আনা হয় মিছিলে সামনের সারিতে। কিন্তু তাঁর চোখেমুখই বলে দিচ্ছিল, কতটা রেগে এই তৃণমূল নেতা...
আচমকা গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায় মিছিলে। উত্তেজিত আরাবুল ও তাঁর অনুগামীদের কোনওরকমে টেনেহিঁচড়ে মিছিল থেকে বের করে নিয়ে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
উত্তেজিত কাইজার আহমেদকেও দেখা যায় অনুগামীদের নির্দেশ দিতে।
দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে ততক্ষণে একপ্রস্থ হাতাহাতি হয়ে গিয়েছে। প্রার্থী সহ শীর্ষনেতারা গোটা ঘটনায় হতবাক।
শিক্ষাবিদ তথা তৃণমূল প্রার্থী সুগত বসুর এই ইচ্ছেটা অধরাই রয়ে গেল ভাঙড়ের ক্ষেত্রে। এর আগে গত তেইশে মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে অর্পিতা ঘোষের কর্মিসভাতেও একইভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। যার জেরে সাসপেন্ড করা হয় দলের চার কর্মীকে। ভোটের আগে বারবার এভাবে দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব সামনে চলে আসায় অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল শিবিরে।
First Published: Thursday, March 27, 2014, 09:02