Last Updated: February 27, 2012 16:36

প্রবল বিতর্কের মুখে পড়েও নিজের অবস্থানে অনড় রইলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এমনকী নির্বাচিত আইনসভা-নির্ভর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার `অসারতা`র তত্ত্ব মজবুত করতে কর্নাটক বিধানসভায় তিন বিজেপি মন্ত্রীর মোবাইলে `ব্লু ফিল্ম` দেখার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন টিম আন্নার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। নিজের ঘনিষ্ঠ অনুগামী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে এদিন সাফাই দিয়েছেন রালেগাঁও সিদ্ধির প্রবীণ সমাজকর্মী। আন্নার দাবি, দেশের সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হেয় করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না কেজরিওয়ালের। অন্যদিকে কেজরিওয়ালের `শব্দচয়ন` নিয়ে দ্বিমত পোষণ করলেও তাঁর বক্তব্যের মর্মার্থকে সমর্থন জানিয়েছেন যোগগুরু রামদেব।
শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরাসরি সংসদকে নিশানা করেছিলেন প্রাক্তন আমলা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, দেশের মোট ১৬৩ জন সাংসদের বিরুদ্ধে খুন, দাঙ্গা, ধর্ষণ, ডাকাতি, অপহরণের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তাই দেশের জনগণের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে গণতন্ত্রের মন্দির হিসেবে পরিচিত সংসদ। অপরাধী ব্যক্তিতে ভরা এই সংসদে জন লোকপাল বিল পাশ হওয়া সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কেজরিওয়ালের এই মন্তব্য ঘিরে প্রবল আলোড়ন তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। লালুপ্রসাদ যাদব, দিগ্বিজয় সিং, মুলায়ম সিং যাদবের মতো নেতার সরাসরি টিম আন্নার বিরুদ্ধে দেশের সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে `অবমাননা`র অভিযোগ আনেন। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে কেজরিওয়ালের এই মন্তব্যের সমালোচনা করে বিজেপি`ও। এই পরিস্থিতিতে এদিন লখনউতে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে টিম আন্নার অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানান দিগ্বিজয়। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির তরফে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সংসদে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। কিন্তু চাপের মুখে নতি স্বীকার না করে কেজরিওয়াল স্পষ্ট করলেন, শুধু দুর্নীতি নয়, সামগ্রিকভাবে দেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা নিয়েই নানা প্রশ্ন রয়েছে টিম আন্নার।
First Published: Monday, February 27, 2012, 19:02