Last Updated: September 2, 2013 17:43

স্বঘোষিত গডম্যান আসারাম বাপুককে এ বার দু সপ্তাহ কাটাতে হবে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে। এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগে আসারামকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ আদালত জানায় আসারামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বেশ গুরুতর, তাই তদন্তের খাতিরে তাঁকে আরও দু সপ্তাহ বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হবে।
তার আগে টানা প্রায় চার ঘণ্টা তাঁকে জেরা করে যোধপুর পুলিস। যে আশ্রমে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল, সেই আশ্রমেও নিয়ে যাওয়া হয় আশারাম বাপুকে।
স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু অতীতেও বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন। গত বছর ১৬ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতা মেয়েটিও ধর্ষকদের সমান দোষী বলে প্রবল সমালোচনার সম্মুখীন হন।
এই বছর মার্চে যখন চার দশকের মধ্যে ভয়াবহতম খরার সম্মুখীন হয় মহারাষ্ট্র, তখন ভক্তদের উপর নকল বৃষ্টির ছোঁয়া দেওয়ার জন্য কয়েক গ্যালন জল নষ্ট করেন তিনি।
২০০৮-এ আসারামের আশ্রমের কাছে সবরমতীর তীরে দীপেশ ভাগহেলা ও অভিষেক ভাগহেলা নামের দুই কিশোরের গলিত পচা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় সপুত্র আসারামকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের সন্দেহ ঘনীভূত হয়।
আজ আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে পারে যোধপুর পুলিস। তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন আশারাম বাপু। যোধপুরের পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন, নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার ঘটনায় আরও কয়েকজনকে আটক করা হতে পারে।
আসারামের বিরুদ্ধে যে নাবালিকা নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে তার পরিবার আদতে উত্তরপ্রদেশের শাজাহানপুরের বাসিন্দা। আসারামের গ্রেফতারির দাবিতে সেখানে জেলাশাসকের দফতরের সামনে অনশনে বসেছিলেন ওই কিশোরীর বাবা। আজ সার্কল অফিসার রাজেশ্বর সিংহের হাত থেকে ফলের রস খেয়ে অনশন ভেঙেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ক্রমাগত তাঁকে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে আশারাম শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন।
First Published: Monday, September 2, 2013, 17:49