Last Updated: July 11, 2013 20:29

বলিউড মানেই লার্জার দ্যান লাইফ। যশরাজের হাত ধরে বিদেশ পাড়ি দিয়েছিল হিন্দি ছবি। আল্পস থেকে সুইজারল্যান্ড, ইটালি, ভেনিস, ভারতীয় ছবির বদান্যতা পেয়েছে গোটা পৃথিবীই প্রায়। তবে এই দশকের পরিচালকদের আর তেমন টানে না বিদেশ। বরফের দেশে শিফ শাড়িতে নায়ক-নায়িকার প্রেম দৃশ্যও হলমুখী করে না দর্শকদের। হিটের তালিকায় সকলকে পিছনে ফেলে দেয় দাবাং বা বরফির মত আদ্যপান্ত দেশে শুটিং হওয়া ছবিই। তাই পরিচালকরাও এখন লোকেশন খুঁজতে মন দিচ্ছেন দেশের অনামী, অপূর্ব জায়গায়।
২০১২ ও ২০১৩। এই দুই বছরে ভারতের অখ্যাত, অভূতপূর্ব কিছু গ্রাম চষে ফেলেছেন পরিচালকরা।
বরফি- গত বছর একশো কোটির ব্যবসা দেওয়া ছবিতে ছিলেন রনবীর কপূর, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মত তারকারা। তবে ছবির শুটিংয়ের জন্য অনুরাগ বসু বেছেছিলেন তামিল নাড়ুর অখ্যাত গ্রাম পল্লাচি। কোয়েম্বাটোর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম পল্লাচি দেখানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ হিসেবে।

গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর পার্ট ওয়ান ও টু- ওয়াসেপুর আদপে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে অবস্থিত হলেও পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ শুটিং করেছিলেন উত্তর প্রদেশের মির্জাপুর জেলার গ্রাম চুনারে। ১৯৮০ সালের বিহার কয়লা মাফিয়াদের গ্যাং দেখাতে চুনারকেই বেশি উপযুক্ত মনে হয়েছিল অনুরাগের।
সাহেব বিবি অওর গ্যাংস্টার সিক্যোয়েল- গত বছর মুক্তি পায় সাহেব বিবি অওর গ্যাংস্টারের সিক্যোয়েল। গোধরা থেরে ৪৪ কিলোমিটার দূরে দেবগধ বারিয়াতে ছবির শুটিং করেছিলেন তিঘমাংশু ধুলিয়া। এখানেই প্রথম ভাগও শুটিং করেছিলেন তিঘমাংশু। ওখানকার রাজ পরিবারের লোকজনের জন্য বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থাও করেছিলেন তিঘমাংশু।
লুটেরা- ১৯৫০ সালের বাংলা দেখাতে পরিচালক বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের পছন্দ হয়েছিল পুরুলিয়া। কলকাতা থেকে পাঁচ ঘণ্টার পথ। তারপর গিয়ে টানা ৮-১০ ঘণ্টা শুটিং। পুরোটাই একটানা করতে হলেও কখনও হাঁপিয়ে ওঠেননি রনবীর সিং, সোনাক্ষি সিনহা।

ভাগ মিলখা ভাগ- মিলখা সিংয়ের জীবন নিয়ে ছবি ভাগ মিলখা ভাগ। ফারহান আখতার অভিনীত ছবিতে বড় অংশ জুড়ে রয়েছে দিল্লির সবথেকে বড় রিফউজি ক্যাম্প শরদারা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এনেক বদলে গিয়েছে শরদারা। মিলখার শুটিংয়ের জন্য তাই পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা বেছে নিয়ছিলেন হরিয়ানার ছোট্ট গ্রাম রেওয়ারি।
সত্যাগ্রহ- ছবি মুক্তি না পেলেও ট্রেলর এসে গেছে সত্যাগ্রহর। পাহাড়ের প্রতি প্রকাশ ঝা-র প্রেম কারও অজানা নয়। রাজনীতি, চক্রব্যূহ সব ছবিতেই রয়েছে পাহাড়ের লোকেশন। সত্যগ্রহর জন্য প্রকাশ বেছেছেন পাঁচমারি। শুটিং চলাকালীন কিছুদিন পাঁচমারিতে এসে ছুটি কাটিয়ে যান অর্জুন রামপালের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা।
পিকে- ছবি আমির খানের লুক নিয়ে এর মধ্যেই প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে। রাজস্থানের জয়পুর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দূরে মন্ডওয়ানাতে পিকের কিছু অংশের শুটিং করেছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি। শুটিংয়ের সময় হিট স্ট্রোক হয়ে যায় রাজকুমারের। তবে প্রতিদিন শুটিংয়ের পর জয়পুরে এসে আরাম করতেন আমির।

সিঙ্গুলারিটি- বহু প্রতিক্ষার পর এই বছর অক্টোবরে মুক্তি পেতে চলেছে সিঙ্গুলারিটি। শুটিংয়ের জন্য বিদেশি পরিচালক রোলান্ড জফের মনে ধরেছে মধ্য প্রদেশের ঝাঁসি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের গ্রাম ওরছা। এর আগে কলকাতাতেও শুটিং করেছেন জফে।
র্যাম্বো রাজকুমার- গুজরাতে ব্লকবাস্টার লগান ছবির শুটিং করেছিলেন আমির খান। আগামী ছবির জন্য গুজরাতকেই বেছে নিয়েছেন প্রভু দেবাও। গোন্ডাল, রাজকোট আর ভূজে শুটিং হয়েছে র্যাম্বো রাজকুমারের। নভেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
হাইওয়ে- এই বছরই ডিসেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে ইমতিয়াজ আলির হাইওয়ে। মাত্র ৫২ দিনের মধ্যে ভারতের ৬টি রাজ্যে শুটিং হয়েছে রণদীপ হুডা, আলিয়া ভট অভিনীত ছবির। জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রতিদিন ২-৩ কিলোমিটার গিয়ে অরু ভ্যালিতে শুটিং করত গোটা ইউনিট।
First Published: Thursday, July 11, 2013, 20:29