Last Updated: June 5, 2013 21:59

সারদা কাণ্ডের পর থেকে বিভিন্ন ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টদের আত্মহত্যা চলছেই। বাঁকুড়ার ইন্দপুর ও মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণমাটি এলাকায় আত্মঘাতী হয়েছেন দুজন এজেন্ট। কয়েক মাস ধরেই টাকা ফেরত চেয়ে তাঁদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিলেন আমানতকারীরা। বাঁকুড়ার ইন্দপুর থানার কেচন্দা গ্রামের স্বপন মোদক পেশায় ব্যবসায়ী। হাতিরামপুরে তাঁর একটি খাবারের দোকান রয়েছে। সাত মাস আগে স্বপন মোদক অ্যাঞ্জেল গ্রুপ অফ কোম্পানি নামে একটি অর্থলগ্নি সংস্থায় এজেন্ট হিসেবে কাজে যোগ দেন। এলাকায় পরিচিতির কারণে অনেকেই তাঁর কাছে টাকা জমা রাখেন। স্বপন মোদক নিজেও তাঁর সঞ্চয়ের টাকা ওই সংস্থায় লগ্নি করতেন। সারদা কাণ্ডের পর থেকেই আমানতকারীরা স্বপন মোদকের ওপর টাকা ফেরতের জন্য চাপ বাড়াচ্ছিলেন। অভিযোগ, অ্যাঞ্জেল গ্রুপ অফ কোম্পানি আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়নি। তার জেরে অবসাদে ভুগতে শুরু করেন স্বপন মোদক। শেষ পর্যন্ত মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের কৃষ্ণমাটি এলাকার গণেশ বৈদ্য একটি অর্থলগ্নি সংস্থায় এজেন্টের কাজ করতেন। অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে দুজন আমানতকারী মোটরবাইকে এসে তাঁকে হুমকি দিয়ে যায়। তাতে বলা হয়, টাকা ফেরত না পেলে অবিলম্বে অপহরণ করা হবে তাঁকে। তারপরই চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন গণেশ বৈদ্য।
বিভিন্ন ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থায় যাঁরা টাকা রেখেছেন, সারদা কাণ্ডের পর থেকেই তাঁদের আশঙ্কা, উদ্বেগ বেড়েছে। টাকা ফেরত চেয়ে অনেকেই বারবার হত্যে দিচ্ছেন এজেন্টের বাড়ি। পাওনাদারদের ক্ষোভ, অপমানের মুখে পড়ে বহু ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন এজেন্টরা।
First Published: Wednesday, June 5, 2013, 22:00