Last Updated: December 10, 2013 22:43
দিল্লিতে সরকার গড়বে কে? আজও সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া গেল না। কারণ, সরকার গড়তে কোনও দলের সমর্থনই নেবে না বিজেপি। একই অবস্থান আম আদমি পার্টিরও। তাহলে কি সঙ্কটমোচন হয়ে এগিয়ে আসবে কংগ্রেস? আজও সেই সম্ভাবনা দেখা যায়নি। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি শেষপর্যন্ত ফের ভোট করতে হবে দিল্লিতে?কে গড়বে সরকার? ভোটের ফল ঘোষণার দুদিন পরও স্পষ্ট হল না সেই চিত্র? শিরোমণি অকালি দলকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি দাঁড়িয়ে বত্রিশে। কিন্তু, সেটা তো ম্যাজিক ফিগারের থেকে কম। আম আদমি পার্টি জিতেছে ২৮ টি আসনে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের হাতেও নেই সংখ্যা। তাহলে কি সরকার গড়তে বিজেপির পাশে দাঁড়াবে আম আদমি পার্টি? দলের অবস্থানের বিপরীতে গিয়ে মঙ্গলবার সকালে হঠাতই এরকম একটা ইঙ্গিত দিয়ে ফেলেন আপ নেতা প্রশান্ত ভূষণ। আর তাতেই বেকায়দায় পড়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে তড়িঘড়ি ময়দানে নামতে হয় কেজরিওয়ালকে।
মঙ্গলবার বৈঠকে বসে বিজেপির পরিষদীয় দল। অবস্থানে অনড় তারাও। বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, প্রয়োজনে বিরোধী আসনে বসবে তারা। তাহলে? সঙ্কট কাটাতে কি এগিয়ে আসবে কংগ্রেস? জানা যাচ্ছে, কেজরিওয়ালদের সমর্থন ইস্যুতে কংগ্রেসের অন্দরেই চাপ বাড়ছে। কিন্তু, কংগ্রেস সমর্থন করলেও, তাদের কি পাশে নেবে আপ? সেই সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলে কীরকম হবে দিল্লি বিধানসভার ছবিটা?
আম আদমি পার্টি- ২৮
কংগ্রেস -৮
আর জেডিইউয়ের এক বিধায়ক
সবমিলিয়ে ৩৭। অর্থাত ম্যাজিক ফিগারের থেকেও একটা বেশি। কিন্তু, সেই সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে।
যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে যদি বিজেপির দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেয় আপ? তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু, দুদলের অবস্থান থেকে স্পষ্ট, সেই পথ কার্যত বন্ধ।
তাহলে কি দিল্লিতে সরকার গড়তে হাত মেলাবে কংগ্রেস আর বিজেপি? দুই প্রধান প্রতিপক্ষের জোট বাঁধার সম্ভাবনা যে এক্কেবারেই অসম্ভব, তা স্পষ্ট।
আর একটা সম্ভাবনাও রয়েছে। নির্দল এবং জেডিইউয়ের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানাতে পারে বিজেপি। কিন্তু সেক্ষেত্রেও আসছে না ম্যাজিক ফিগার। সংখ্যালঘু সরকার বহুবছর টিকে যাওয়ার নজির থাকলেও আপাতত সেপথ মাড়াতে চায় না বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে পুনর্নির্বাচনের পথ। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে প্রথমে সরকার গড়তে ডাকা হবে। সেক্ষেত্রে বিজেপি রাজি না হলে, ডাকা হবে আম দমি পার্টিকে।
তারাও রাজি না হলে বিধানসভা না ভেঙেই জিইয়ে রাখা যেতে পারে। অথবা ভেঙে দেওয়া যেতে পারে বিধানসভা। সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠাবেন দিল্লির লেফটন্যান্ট গভর্নর। সেই রিপোর্টে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রস্তাব থাকলে, সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে। সেখানেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। রাষ্ট্রপতি শসন জারি হলে, ছমাসের জন্য দিল্লির সব প্রশাসনিক ক্ষমতা যাবে লেফটন্যান্ট গভর্নরের হাতে। এরপরই নেওয়া হবে ভোট।
First Published: Tuesday, December 10, 2013, 22:43