Last Updated: January 14, 2014 23:08

টান পড়েছে খাবারে। দলমা থেকে নেমে আসা হাতির পাল আর ফিরতে চাইছে না দলমায়। বাড়ছে হাতির হানা। নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে বাঁকুড়া, ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলে লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের। এতদিন ছিল অন্য ভয়। পুলিস আর মাওবাদী। সবাই হুকুম চালাত। এদিক-ওদিক হলেই ক্ষমা নেই। এখন সময় পাল্টেছে। মাওবাদীদের দাপট আর নেই। কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি । জঙ্গলমহলের বন সংলগ্ন গ্রামগুলিতে এখন হাতির আতঙ্ক। হাতির পাল তছনছ করে দিচ্ছে জমির ফসল।
আগে জুলাই অগাস্ট নাগাদ দলমা থেকে আসা হাতির পালের একাংশ যেত বেলপাহাড়ি, লালগড়, কলাইকুন্ডা হয়ে নয়াগ্রামে। আরেকটি দল গড়বেতা,গোয়ালতোড়, শালবনি হয়ে ঢুকত বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। কয়েক মাস দাপিয়ে ফের ফিরে যেত দলমায় । এখন কিন্তু ফিরছে না হাতিরা। আগে প্রতিটি পালে থাকত ৫০ থেকে ৮০টি হাতি। ২০-৩০টির দলে ভাগ হত হাতির পাল। এখন সংখ্যাটা ১২০ থেকে ২০০। বনকর্মীর সংখ্যা কম। রেঞ্জ অনুযায়ী হুলা পার্টির সংখ্যা দাড়িয়েছে দশ থে কে বারো। ফলে হাতি তাড়ানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ধ্বংস হচ্ছে অরণ্য। খাবারে টান পড়ায় হাতি হানা দিচ্ছে জনপদে। নষ্ট হচ্ছে ফসল। প্রাণহানিও হচ্ছে। গত একমাসে জঙ্গলমহল এলাকায় যত প্রাণহানি হয়েছে তা সাম্প্রতিক ইতিহাসের তার নজির নেই। নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল। তাহলে উপায়? উত্তর জানা নেই অরণ্য লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের।
First Published: Tuesday, January 14, 2014, 23:08