Last Updated: January 16, 2014 23:34
বাসন্তী হাইওয়েতে পরপর দুর্ঘটনা চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে লালবাজারের কর্তাদের। গোটা কলকাতার দুর্ঘটনার গ্রাফ যেখানে নিম্নমুখি, সেখানে নিত্যদিন বিপদঘন্টি বাজিয়ে চলেছে বাসন্তি হাইওয়ে। রাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ ছ-টি সেতু নতুন করে তৈরির ভাবনা শুরু। আর এই নিয়ে শীঘ্রই জরুরি মিটিংয়ে বসতে চলেছেন ট্রাফিক কর্তারা।
ই এম বাইপাস, ডায়মন্ড হারবার রোড,আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোড, টালিগঞ্জের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র রোড, সিআইটি রোড এবং স্ট্র্যান্ড রোড। পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতার এই ছয় রাস্তা বর্তমানে দুর্ঘটনা প্রবণ। গ্রাফিক্স ...ট্রাফিক পুলিসের দাবি, দশ বছর আগে দুহাজার তিন সালে শুধুমাত্র কলকাতাতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল চারশো বিয়াল্লিশ জনের। আর দুহাজার তেরো সালে সংযুক্ত এলাকা ধরে কলকাতায় পথ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা চারশো সাতাশ। এর মধ্যে শুধুমাত্র সংযুক্ত এলাকায় মৃতের সংখ্যা তিরানব্বই।
গত দশবছরে ট্রাফিক নিয়ে একাধিক সচেতনতা কর্মসূচী এবং কিছু পরিকাঠামোগত বদল কলকাতার পথদুর্ঘটনা কমাতে কাজে এসেছে বলে দাবি, ট্রাফিক কর্তাদের। যদিও সম্পূর্ণ উল্টো ছবি বাসন্তী হাইওয়ের ক্ষেত্রে।
২০১২ সালে বাসন্তী হাইওয়েতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৩ জন।
২০১৩ সালে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১০ জনের। বৃহস্পতিবার ভোরে ফের দুর্ঘটনা বাসন্তী হাইওয়ের কয়লা ডিপো এলাকায়। মৃত ২।
বাসন্তী হাইওয়ের দুর্ঘটনার ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে একাধিক বিষয়-
রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা না থাকা।
রাস্তায় নব্বই ডিগ্রি কোণের মতো ছ-ছটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক।
পুলিসি নজরদারী কম থাকার সুযোগে বেপরোয়া ড্রাইভিং।
দুর্ঘটনা এড়াতে এবার রাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের সেতুগুলি নতুন করে বানানোর ভাবনা শুরু করল কলকাতা পুলিস। কয়েকদিনের মধ্যেই স্থানীয় থানা, পিডব্লিউডি, সেচ দফতর এবং পুর-কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কলকাতা পুলিস। ২৪ ঘণ্টার জন্য আকবর হোসেন মল্লিকের সঙ্গে অর্ণব হাজরার রিপোর্ট, কলকাতা।
First Published: Thursday, January 16, 2014, 23:34