Last Updated: February 5, 2013 16:30

দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ড মামলার শুনানি শুরু হল মঙ্গলবার। অভিযুক্ত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৩ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। অন্য এক নাবালক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জুভেনাইল আইনে মামলা শুরু করা হয়েছে।
রাজাধানীর রাস্তায় ১৬ ডিসেম্বর রাতে চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হওয়া ২৩ বছরের তরুণীর পরিবারকে দ্রুত বিচার পাইয়ে দিতে ফাস্ট ট্রাক কোর্ট মামলাটির নিয়মিত শুনানি চলবে। বাসের ভিতর নৃশংস ভাবে ধর্ষণের পরও টানা ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় আমানতকে। ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
এ দিন এজলাসে সাক্ষ্য দেন দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের চার জন প্রত্যক্ষদর্শী। যাঁদের মধ্যে আক্রান্ত ছাত্রীর বন্ধুও ছিলেন। তরুণীর মৃত্যুর পর ওই ব্যক্তি সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলেন। দিল্লি পুলিসের অকর্মন্যতা নিয়ে অভিযোগ তোলেন নির্যাতিতার বন্ধু। সে দিন রাতে দুষ্কৃতীরা তাঁকেও রেহাই দেয়নি। দু`জনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে ফেলে রাখা হয়। আজ হুইলচেয়ারে করে তাঁকে আদালত কক্ষে নিয়ে আসা হয়।
এই ঘটনায় তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিস যে রিপোর্ট পেশ করে, তাতে মোট ৮৬ জন প্রত্যক্ষদর্শীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। যাঁদের মধ্যে পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়র তরুণীর বন্ধু অন্যতম। প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে তরুণীর চিকিৎসকরা সহ পুলিসকে প্রথম খবর দেওয়া ব্যক্তিকেও রাখা হয়েছে।
সাম্প্রতিক কালের বহুল চর্চিত মামলাটি এক মাসের মধ্যেই নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছেন আইনজীবীরা।
First Published: Tuesday, February 5, 2013, 16:30