Last Updated: December 29, 2012 08:35

মৃত্যুর কাছে হার মানল বাঁচার মরিয়া লড়াই। তেরো দিনের লড়াই শেষে মৃত্যু হল দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণীর। ভারতীয় সময় রাত দু'টো পনেরোয় তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিঙ্গাপুরেই তাঁর ময়না তদন্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিস।
চিকিত্সা চলছিল সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। শুক্রবার থেকে ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তরুণীর। বিকল হতে থাকে বিভিন্ন অঙ্গ। সর্বোচ্চ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
শেষ পর্যন্ত শরীরের বেশ কয়েকটি অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় থেমে গেল এই তরুণীর মরিয়া লড়াই। শেষ সময়ে ওই তরুণীর পাশে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাই কমিশনের আধিকারিকরাও। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে আজই বিকেল পাঁচটার পর তরুণীর দেহ নিয়ে আসা হবে ভারতে। তবে মৃত তরুণীর দেহ দিল্লি না উত্তরপ্রদেশে গোরখপরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে তাঁর পরিবারই।
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁর মানসিক জোরকে কুর্নিশ জানানো হয়েছে। "তরুণী অত্যন্ত সাহসী। শেষপর্যন্ত সমস্ত রকম প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনির কিন্তু তাঁর শরীরের ক্ষত এতটাই গভীর ছিল যে শেষরক্ষা হল না"। তরুণীর মৃত্যুর পর শনিবার সকালে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
হাসপাতালের সিইও কেভিন লো বলেন, "আট জন চিকিত্সকের বিশেষ টিম ক্রমাগত তরুণীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত দু'দিন ধরে তাঁর শারীরিক অস্থার অবনতি হতে থাকে। শরীর ও মস্তিষ্কে গভীর ক্ষত থাকা কারণে ও একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ায় মৃত্যু হয় তাঁর"। সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার আগেই দিল্লির সফদরজং হাসপাতালেই একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তরুণী। তিনবার অস্ত্রপচার করা হয় তাঁর।
গত ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ২৩ বছরের ওই ছাত্রী। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে উত্তাল রাজধানী।
First Published: Saturday, December 29, 2012, 14:51