Last Updated: November 18, 2013 22:17
পড়াশোনায় বরাবর তুখোড়। শিবপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, আইআইএম থেকে এমবিএ। এরপর বিদেশে চাকরি। সেখানেও ভাল পারফরমেন্স। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। তাহলে কী এমন ঘটল, যা সৌম্য ভট্টাচার্যকে এভাবে মানসিক অবসাদের দিকে ঠেলে দিল? যার জেরে নিজের এবং সঙ্গে মার প্রাণও কেড়ে নিতে দু-বার ভাবলেন না তিনি!
শিবপুর থেকে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে সুইজারল্যান্ডে দেড় বছর ছিলেন সৌম্য। সুইজারল্যান্ডে থাকার সময়ই এসেছিল প্রথম ধাক্কা। সত্যম, যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন তাতে বড়সড় কেলেঙ্কারি তাঁর ওপরও বড়রকম প্রভাব ফেলে। দুর্নীতির খবর পেতেই চেপে বসে অবসাদ, চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তা, বাড়ি ফিরে আসেন সৌম্য। দেশে ফিরে বেঙ্গালুরুতে এক নামিদামী বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা চন্দ্রতপা ব্যানার্জির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি।
সৌম্যর বাবা জানান, কুড়ি হাজার টাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে মিথ্যে বলে বিধাননগরে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন চন্দ্রতপা। এরপর চাকরি হারিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন সৌম্য। এসবের মধ্যেই তাঁর এবং পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ৪৯৮এ ধারায় মামলা দায়ের হয়। শেষমেষ ডিভোর্স হয়ে গেলেও অশান্তি তাঁর পিছু ছাড়েনি। টিসিএস-এ চাকরি পেলেও পুলিস ইনভেস্টিগেসনের চাকরি আটকে যায়। এরপর থেকেই মৃত্যু-চিন্তা ভর করেছিল সৌম্য ভট্টাচার্যের মাথায়। চিকিত্সা চললেও খুব একটা ফল হয়নি। এরপরত্সক বদল, ওষুধ কমিয়ে দেওয়ায় আরও বেশি করে মৃত্যুর কথা বলতে থাকেন সৌম্য।
পরিবারের বিশ্বাস, চরম মানসিক অবসাদই শেষপর্যন্ত কেড়ে নিল বছর পয়তাল্লিশের এই ইঞ্জিনিয়ারের প্রাণ। আর নিজের এই শেষ-যাত্রায় সঙ্গে নিয়ে গেলেন মাকেও।
First Published: Monday, November 18, 2013, 22:17