Last Updated: December 16, 2013 09:10

দিল্লি ধর্ষণ কাণ্ডের পর নারী নির্যাতন রুখতে আরও কড়া আইন জারি করেছে কেন্দ্র। আগের চেয়ে কড়া হয়েছে একাধিক রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরেও মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ছবিটা বদলায়নি। মুম্বইয়ে চিত্রসাংবাদিক ধর্ষণ থেকে এরাজ্যের কামদুনি, খোরজুনা কাণ্ড তার বড় প্রমাণ।
দেশজোড়া আন্দোলন, কড়া আইন চালু আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ছবিটা পাল্টায়নি। ----
২০১৩-র জানুয়ারি থেকে দশ মাসের সরকারি তথ্যে জানা গেছে-
গত এক বছরে শুধু দিল্লিতেই ধর্ষণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে
২০১২ সালে দিল্লিতে নথিভূক্ত ধর্ষণের অভিযোগ ৭০৬
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩৩০
২০১২ সালে দিল্লিতে নথিভুক্ত যৌননির্যাতনের সংখ্যা ৭২৭
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা বেড়ে হয়েছে তিনগুণ, লজ্জার পরিসংখ্যান বলছে সংখ্যাটা ২৮৪৪
রাজধানীর পর এবার বাণিজ্য নগরী মু্ম্বই
২২ অগাস্ট ২০১৩
মধ্য মুম্বইয়ের একটি পরিত্যক্ত কারখানায় গণধর্ষিতা তরুণী চিত্রসাংবাদিক
----
গাজিয়াবাদে তরুণীকে ধর্ষণের পর হোটেলের সামনে ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা
দেশজুড়ে এরকম অসংখ্য উদাহরণ। পশ্চিমবঙ্গের বারাসত, কামদুনি, গেদে, খোরজুনা---একের পর এক নানা ঘটনা বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, নারী নিরাপত্তা এখনও সোনার পাথর-বাটি।
দিল্লি কাণ্ডে এত আন্দোলন, যৌন নির্যাতন রুখতে কড়া আইন চালুর পরেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না কেন?
দিল্লি ধর্ষণ কাণ্ডের পর নারী নির্যাতন রুখতে যে নতুন আইন আনা হয়, তাতে আরও কড়া শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। নারী নির্যাতন বিরোধী আইন কড়া হয়েছে কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও জম্মু-কাশ্মীরে। তবু কেন মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের এত বাড়বাড়ন্ত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জন্য সমাজের একাংশের অসুস্থ মানসিকতা যেমন দায়ী, তেমনই দায় এড়াতে পারে না পুলিস-প্রশাসনও। কামদুনিতে ধর্ষণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর রোষে পড়েছিলেন দুই তরুণী। মুর্শিদাবাদের খোরজুনার ঘটনায় পুলিস সুপার স্বয়ং ধর্ষণকে স্বেচ্ছায় মিলন বলে মন্তব্য করেন।
বাধা তো অনেক আছে। তবু কঠিন সঙ্কল্প যে নিতেই হয় বারবার...
জন্মান্ধ এক মেয়েকে
আমি জ্যোত্স্নার ধারণা দেব বলে
এখনও রাত্রির এই মরুভূমি জাগিয়ে রেখেছি
First Published: Monday, December 16, 2013, 09:11