এখনও স্বপ্নে অবিচল মুনওয়াক, হ্যাপি বার্থ ডে এম জে

এখনও স্বপ্নে অবিচল মুনওয়াক, হ্যাপি বার্থ ডে এম জে

এখনও স্বপ্নে অবিচল মুনওয়াক, হ্যাপি বার্থ ডে এম জে ২০০৯-এর জুন মাসের ২৫ তারিখের একটা অন্ধকার সকাল বয়ে এনেছিল তাঁর মৃত্যু সংবাদ। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভাক্তকে কাঁদিয়ে বড় অকালে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তামাম বিশ্বের অগুণতি ভক্তদের মধ্যে আজও ভীষণ ভাবে বেঁচে আছেন তিনি। পৃথিবীতে যতদিন `মিউজিক` শব্দটা টিকে থাকবে ততদিন বেঁচে থাকবেন তিনি। তাঁর সৃষ্টি। পপ মিউজিক অথা পপ কালচারকে যিনি এককভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছেন আজ সেই কিংবদন্তীর জন্মদিন। বেঁচে থাকলে আজ ৫৫-তে পা দিতেন মাইকেল জ্যাকসন।

মাত্র পাঁচ বছর বয়সে জ্যাকসন ফাইভ এর অংশীদার হিসাবে প্রকাশ্যে গান গাওয়া শুরু। আর তারপরতো বাকিটা ইতিহাস। পৃথিবীর সর্বকালের সেরা সফলতম অ্যালবামের মালিক (থ্রিলার) থেকে একই বছরে আটটি গ্রামি জয়ের অনন্য রেকর্ডের পর তাঁর সঙ্গীত প্রতিভা নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করাই বাতুলতা। কিন্তু শুধু সঙ্গীত নয় রঙ-পেন্সিল বাক্সের প্রত্যেকটা রঙয়ের বর্ণছটায় সমৃদ্ধ তাঁর জীবন জীব্বদশাতেই তৈরি করেছিল তাঁর লার্জার দ্যান লাইফ ইমেজ। নিজের বাড়িতেই তৈরি করে ফেলেছিলেন পিটার প্যানের `নেভার ল্যান্ড`। যাতে ছিল ছোটদের জন্য আস্ত একটা চিড়িয়াখানা। পপ ছাড়াও শ্বেতির সংক্রমণ, কসমেটিক সার্জারি, সারগেশনের মাধ্যমে পিতৃত্ব, সেক্সুয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন চরম বিলাসি জীবন তাঁকে সবসময় খবরের শিরোনামে রেখেছে। কিন্তু তাঁর জীবনেও লেগেছে কালোদাগ। শিশুদের উপর যৌন অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অবশ্য তাতে মাইকেল জ্যাক্সনের জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র দাঁড়ি পড়েনি।

এম জে নেই। কিন্তু এখনও মাইকেল জ্যাকসন পাগলদের মস্তিকে অবিরত চলছে তাঁর মুনওয়াক। তাঁর জন্মদিন মাইকেল ভক্তদের জন্য রইল অজানা কিছু তথ্য।
এখনও স্বপ্নে অবিচল মুনওয়াক, হ্যাপি বার্থ ডে এম জে
১) জ্যাকসন ফাইভে থাকার সময় এম জে-এর নিজের গলা মিনি মাউসের মত লাগত।

২) পাঁচ বছর বয়সে `সাউন্ড অফ মিউজিক` -এর `ক্লাইম্ব এভরি মাউন্টেন` প্রকাশ্যে গাওয়া এম জে-এর প্রথম গান।

৩) তাঁর `বিলি জেন` এম টিভিতে সম্প্রচারিত কোনও কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পীর প্রথম মিউজিক ভিডিও।

৪) দুনিয়া কাঁপানো `মুনওয়াক` নাকি তিনি মার্শেল মারসেউ নামের মুখাভিনেতার অভিনয় দেখে শিখেছিলেন।

৫) বাবল নামের শিমাঞ্জির সঙ্গে মাইকেলের নেভারল্যান্ডের চিড়িয়াখানার বাসিন্দা ছিল ক্রাশার নামের অজগর, মিস্টার টিব্বাস নামের একটি ভেড়া, মাসল নামের একটি বোর সাপ।

৬) লিওনেল রিচির মেয়ে নিকোল ও বি জিস-এর ছেলে মাইকেলের গড ফাদার ছিলেন এম যে।

৭) প্রিয় বন্ধু ম্যাকলে কলকিন তাঁর ছেলে ও মেয়ে প্রিন্স ও প্যারিসের গডফাদার ছিলেন। এই কলকিনই নেভারল্যান্ডকে সাজিয়ে তুলতে মাইকেলকে সাহায্য করেছিলেন।

৮) `বিটলস` -এর `কাম টুগেদর` মাইকেলের প্রিয় গান।

৯) ১৯৯৯-এ ডেভিড ও সেলজিঙ্কের থেকে `উইন্ড` -এর জন্য পাওয়া অস্কারটি তিনি দেড় মিলিয়ন ডলারের বিনিময় কিনে নেন তিনি।

১০) গাছে চড়তে ভালবাসতেন এম জে। তাঁর নেভারল্যান্ডে তিনি একটি গাছের নাম রেখেছিলেন গিভিং ট্রি। এই গাছে চড়ে বহু দুনিয়া কাঁপানো গান লিখেছিলেন তিনি।

১১) মৃত্যুর আগে পর্যন্ত লস আঞ্জেলিসের যে ভাড়া করা প্রাসাদে তিনি থাকতেন কোনও এক সময় সেটির মালিক ছিলেন শঁ কনেরি।

১২) ২০০৫ -এ বাহরিনের শেখের আমন্ত্রণে বাহরিনে যান মাইকেল জ্যাকসন। এখানে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।

১৩) ছোট বেলায় পপ সম্রাটের পছন্দ ছিল রিপ ভ্যান উইঙ্কল ও পিনাসিয়োর গল্প।







First Published: Thursday, August 29, 2013, 15:02


comments powered by Disqus