Last Updated: March 26, 2012 10:31

ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই চালু হতে চলেছে হাতিবাগানের সবজি ও মাছ বাজার। চালু হতে পারে মুদিখানার বাজারও। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরেই কীভাবে বাজারের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা দ্রুত মেরামতি করা যায় তা নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে দুদফায় বৈঠক করেন মেয়র পারিষদ বাজার, দেবাশিস কুমার ও মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য, অতীন ঘোষ। বৈঠকে স্থির হয় অগ্নিকাণ্ডে বাজারের যে অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি আপাতত সেখানেই অস্থায়ীভাবে ডালা পেতে দোকান খুলবেন ব্যবসায়ীরা। ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ ও মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হলে ফের নিজেদের জায়গায় ফিরে যাবেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ হাতিবাগান বাজারে প্রথম আগুন লাগে ফলপট্টিতে। সেখান থেকে একটি জুতোর দোকান ও তার লাগোয়া একটি চামড়ার গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বাজারের যে অংশে আগুন লাগে সেখানে মূলত ঘি, প্লাস্টিক, টিন, ফল ও হার্ডওয়ারের দোকান। ঘটনাস্থলে দমকলের ৩২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেও ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগার ফলে দমকল কর্মীদের প্রাথমিক ভাবে কাজ করছে যথেষ্ট অসুবিধে হয়। সঙ্কীর্ণ পরিসর দিয়ে প্রয়োজনীয় জল আনা সম্ভব হয়নি। ফলে বেলা সাড়ে দশটা পর্যন্তও আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বেলার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই নিজেদের মালপত্র বাঁচানোর জন্য বাজারের ভিতর ঢুকে পড়েন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবারের অগ্নিকাণ্ডে হাতিবাগান মার্কেট-এর বড় অংশই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দমকলের আধিকারিকরা আশঙ্কা করছেন, এই বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ফলে আশপাশের বেশ কিছু বাডি়ঘরে তাপের কারণে ফাটল দেখা দিতে পারে।
First Published: Monday, March 26, 2012, 10:32