Last Updated: March 15, 2013 11:23

শ্রীনগরের সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলার পরই ফের জটিল হয়ে উঠল ভারত-পাক সম্পর্ক। নয়াদিল্লি যখন ওই হামলায় পাক মদতের অভিযোগ জোরালো করছে, ঠিক তখনই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বিদায়ী পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। শেষ সাংবাদিক সম্মেলনে দুই দেশের পারস্পরিক অবিশ্বাস দূর করার ওপরই জোর দেন তিনি। যদিও বৃহস্পতিবারই আফজল গুরুর ফাঁসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয় পাক সংসদে।
শ্রীনগরের বেমিনায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে জঙ্গি হামলার পরই পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছিল নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার সংসদে দাঁড়িয়ে সেই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধেই জঙ্গি মদতের অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কাশ্মীরে হামলার প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে কূটনৈতিক স্তরে। সরকারি তরফে কারণ না জানালেও ইতিমধ্যেই পাক-নাগরিকদের গ্রুপ ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। পাক-বিদেশমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের বক্তব্যে উঠে এসেছে কাশ্মীর প্রসঙ্গ। কিছুদিন আগেই কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাষ্ট্রসংঘে সরব হয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিদায়ী পাক-বিদেশমন্ত্রী তাঁর শেষ সাংবাদিক সম্মেলনে জোর দেন দুই দেশের পারস্পরিক আস্থার ওপর।
বিদেশ মন্ত্রী যেদিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবিশ্বাস দূর করতে বলছেন, সেদিনই আফজল গুরুর ফাঁসির নিন্দা করে প্রস্তাব পাশ হয়েছে পাক-সংসদে। বৃহস্পতিবার পাক-সংসদে ওই প্রস্তাবটি পেশ করেন জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের নেতা মৌলানা ফজলুর রহমান। তিনি কাশ্মীর সংক্রান্ত একটি বিশেষ সংসদীয় কমিটিরও শীর্ষে রয়েছেন। সর্বসম্মত ভাবে পাশ হওয়া ওই প্রস্তাবে ফাঁসির নিন্দার পাশাপাশি আফজল গুরুর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ারও দাবি করা হয়েছে।
First Published: Friday, March 15, 2013, 11:23