Last Updated: December 10, 2011 21:14

ঢাকুরিয়ার এএমআরআইতে অগ্নিকাণ্ডের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে শহরের নামী বেসরকারি নার্সিংহোম ও হাসপাতালগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। চব্বিশ ঘণ্টার গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এরকমই কিছু নামী হালপাতালের চিত্র।

দক্ষিণ কলকাতার নামী বেসরকারি চক্ষু চিকিত্সা কেন্দ্র প্রিয়ংবদা বিড়লা আই ফাউন্ডেশন। চিকিত্সার জন্য রোজই কয়েক হাজার রোগী আসেন এখানে। হাসপাতালের ঠিক পিছনের দিকের অংশে সারি দিয়ে রাখা রয়েছে একের পর এক এলপিজি সিলিন্ডার। কয়েক হাত পরপর রাখা অক্সিজেন সিলিন্ডার, তার পাশেই ঠাসা দাহ্য বস্তু আর হাসপাতালের বাতিল সরঞ্জাম। একই কমপ্লেক্সে কয়েক হাত দূরেই বেলভিউ নার্সিংহোমের কিচেন। কোনওভাবে আগুন লাগলে ঘটে যেতে পারে এএমআরআই ঘটে যেতে পারে এএমআরআই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

প্রিয়ংবদা বিড়লা আই ফাউন্ডেশনের লাগোয়া বেলভিউ ক্লিনিক নার্সিংহোমের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। পার্কিংলট ছাড়াও গুদামঘর হিসাবেও ব্যাবহত হচ্ছে বেসমেন্ট। হাসপাতালের অব্যবহৃত সরঞ্জাম ঠাসা রয়েছে বেসমেন্ট। বেসমেন্টের মধ্যেই সারি সারি জ্বালানি তেল ভর্তি ড্রাম আর লুব্রিকেটিং অয়েলের জ্যারিকেন। এখানেও বেসমেন্টেই রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। পাশেই ছোট্ট ঘরে সারিবদ্ধভাবে রাখা স্পিরিটের ড্রাম, চলছে অবাধে গাড়ি পার্কিং। এর গা ঘেঁষেই রয়েছে জেনারেটর রুম। বেসমেন্টের একেধারেই দীর্ঘদিন ধরে রমরমিয়ে চলছে ক্যাফেটেরিয়া। ক্যাফেটেরিয়াতে ব্যবহৃত এলপিজি সিলিন্ডারগুলিও রাখা রয়েছে সেখানেই। ক্যাফেটেরি্য়ার রান্নাঘরের পাশেই ঠাসা হাসপাতালের বাতিল প্লাই উড, কাঠ। যদি কোনওভাবে আগুন লেগে যায় তাহলে উড়ে যাবে গোটা নার্সিংহোমটিই। অথচ প্রত্যেকদিন নার্সিংহোমে আসা হাজার হাজার রোগী জানেনই না কতবড় ঝুঁকি নিয়ে চিকিত্সা করাতে আসছেন তাঁরা। আগুন লাগলে লিফটের বদলে আইসিইউ, আইটিইউ রোগীদের কীভাবে নামানো হবে তারও কোন ব্যবস্থা নেই বহুতল এই নার্সিংহোমে।

অন্যদিকে পিয়ারলেস হাসপাতালের তিন তলায় অগ্নি নির্বাপণের সরঞ্জাম রাখার জায়গা খালি। রয়েছে ফায়ার এক্সটিংগুইসার। কিন্তু তাদের মধ্যে কতগুলি কর্মক্ষম বোঝার উপায় নেই। বেসমেন্টে এয়ার কন্ডিশন ইউনিটে ইতস্তত তারের জঙ্গল গ্রাস করেছে হাসপাতাল ভবনকে। এরপাশেই রয়েছে সারি সারি অক্সিজেন সিলিন্ডার। কিছুদূরেই সার দিয়ে রাখা জেনারেটরের জন্য একের পর এক জ্বালানি তেলের ড্রাম।
First Published: Saturday, December 10, 2011, 21:31