Last Updated: January 21, 2014 11:37

লোকসভা নির্বাচনের আগে জেন সম্প্রদয়কে সংখ্যালঘু ঘোষনা করল ইউপিএ সরকার। এই ঘোষনার ফলে জাতীয় সংখ্যালঘুর হিসেবে তকমা পেল জৈন সম্প্রদায়। বহুদিন ধরেই সংখ্যালঘু তকমা পাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন দেশের সত্তর লক্ষ জৈন সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ. সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী রহমান খান ও কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে এই ঘোষনা করলেন।
এতদিন পর্যন্ত জৈনদের হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে ধরা হত. এবার থেকে আলাদা ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসেবে ভারতের অন্য পাঁচ সম্প্রদায়ের (হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, পারসি) মতোই সাংবিধানিক সুবিধা পাবেন জৈন সম্প্রদায়ের মনুষরা। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী যে কোনও বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায় কিছু বিশেষ সুবিধা পায়। যেমন, সংবিধানের তিরিশ ধারা অনুযায়ী তারা নিজেদের সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ স্কুল খুলতে পারে, সংখ্যালঘু সংরক্ষণের অপেক্ষা না থেকেই। সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন তহবিল থেকে খরচের অধিকার পায়।
ভারতে জৈন সম্প্রদায়ের অন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারী সঞ্জীব জৈন জানালেন,"" জাতীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে ঘোষিত হওয়ার সুবাদে আমরা এখন থেকে ভারতীয় সংবিধানের ২৫ ও ২৬ ধারা অনুযায়ী বিশেষ সুবিধা পাব।`` ভারতের এগারোটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই জৈনরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে স্বীকৃত। দুহাজার পাঁচ সালে জাতীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় দেশের জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন। যদিও কেন্দ্রের হাতেই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার আশাতেই ইউপিএ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল মনে করছেন অনেকেই।
First Published: Tuesday, January 21, 2014, 11:37