Last Updated: November 15, 2012 21:40

যাদবপুর, শিবপুরে শতাধিক আসন ফাঁকা পড়ে আছে। এবছরের জয়েন্টের কাউন্সেলিং-এর পর এই চিত্রই রীতিমত রাতের ঘুম কেড়েছিল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের। প্রশ্নের মুখে ফেলেছিল গোটা কাউন্সেলিং ব্যবস্থাকে। সমস্যা মেটাতে আগামী বছর থেকে পাঁচ রাউন্ড কাউন্সেলিং করার কথা ভাবছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।
এবছরই প্রথম জয়েন্টে অন লাইন কাউন্সেলিং শুরু করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। মোট তিন রাউন্ড কাউন্সেলিং হয়। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রীতিমত হইচই পড়ে যায়। দেখা যায় ছাত্রছাত্রীদের প্রথম পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বা শিবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নজিরবিহীনভাবে ফাঁকা থেকে গেছে একশোর-ও বেশি আসন।
প্রশ্ন ওঠে কীভাবে এমনটা হল? বোর্ডের সাফাই ছিল, বহু ছাত্রছাত্রী ভর্তি হবে বলে আসন সংরক্ষন করেও শেষ পর্যন্ত ভর্তি না হওয়ায় এই সমস্যা। যদিও সেই যুক্তি মানতে রাজি ছিলেন না অনেকেই। সমস্যা মেটাতে তাই এবার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় বেশকিছু পরিবর্তনের কথা ভাবছে বোর্ড।
এবছর জয়েন্টে কাউন্সেলিং হয়েছে মোট তিনদফায়। আগামীবছর থেকে তা পাঁচ দফায় করার পথে এগোচ্ছে বোর্ড। বোর্ডের যুক্তি, এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি সময় হাতে পাবে। শুধু তাই নয়, বেশিদিন ধরে কাউন্সেলিং চললে, এরাজ্যের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে অন্যান্য রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে ভর্তি শেষ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বোর্ডের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে ঠিক কতগুলো আসন ফাঁকা থাকছে।
এবছর দেখা গেছে আসন সংরক্ষন করেও শেষপর্ষন্ত ভর্তি না হওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। শেষ মুহুর্তে ভর্তি না হওয়া এইসব আসন পূরণে ক্ষমতাও থাকে না বোর্ডের হাতে। সমস্যা মেটাতে , আগামীবছর থেকে প্রথম রাউন্ডের শেষে যেসব ছাত্রছাত্রী নো-আপগ্রেডেশন বলবে তাদের তখনই পুরো টাকা দিয়ে ভর্তি হতে বলা হবে। বোর্ড মনে করছে, প্রথমেই পুরো টাকা দিয়ে ভর্তি হলে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সেই আসন ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।
সমস্ত বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই অন লাইন কাউন্সেলিং-এর দায়িত্বে যে সংস্থা থাকে তার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বোর্ড। বোর্ড মনে করছে এইসব ব্যবস্থা কার্যকর করা গেলেই ফাঁকা আসনের সংখ্যা অনেকটাই কমানো যাবে।
First Published: Thursday, November 15, 2012, 21:40