Last Updated: January 23, 2014 00:05
রীতিমতো সরকারি উদ্যোগে পুলিসি এসকর্ট নিয়ে নবান্নে এল কামদুনি কাণ্ডের অভিযুক্তদের পরিবার। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে অভিযুক্তদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে তাঁরা স্মারকলিপিও দিলেন। মন্দিরতলা থেকে পুলিসের জিপে করে তাঁদের নবান্নে নিয়ে আসা হয়।
কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডের মতো নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিবারকে এরকম পুলিসি এসকর্ট দেওয়ায় শুরু হয়েছে সমালোচনা।প্রতিবাদী মঞ্চ ও শান্তিরক্ষা কমিটির পর দিন পনের আগে তৈরি হয়েছে কামদুনি ইনসাফ মঞ্চ। বুধবার ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে নবান্নতে অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
চার মূল অভিযুক্ত আমিন আলি, নূর আলি, রফিক গাজী এবং ভোলানাথ নস্করের পরিবারের লোকজন স্মারক লিপি দিতে আসেন। ওই চারজনই এখন বিচারাধীন বন্দি। কিন্তু রীতিমত পুলিসি ঘেরাটোপে পুলিসের জিপে করে তাদের নবান্নে নিয়ে আসা হয়। হাওড়া পুলিসের গাড়িতে সেসময়ে হাজির ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার তন্ময় সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ, সরকারের সহানুভূতি কামদুনির অভিযুক্তদের পক্ষেই রয়েছে । এই ঘটনায় সেই বিতর্ক আরও বাড়ল।
সম্প্রতি নবান্নে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে কর্মচারীদের মিটিং মিছিল আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবলায়ে ঢোকার ক্ষেত্রে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ সেই নবান্নতেই অভিযুক্তদের পরিবারকে রীতিমত পুলিসি নিরাপত্তায় কীভাবে আনা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
First Published: Thursday, January 23, 2014, 00:05