Last Updated: September 23, 2013 19:40

কামদুনিতে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ও এলাকায় শান্তি ফেরাতে নতুন কমিটি গড়েছে তৃণমূল। কিন্তু কমিটি গড়ার পরদিনই কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রশ্ন উঠেছে কেন ঘটনার প্রায় চার মাস পর প্রয়োজন হল নতুন কমিটির। প্রশ্ন উঠেছে নতুন কমিটির যৌক্তিকতা নিয়েও।
কিন্তু নতুন শান্তিরক্ষা কমিটি কি আদতে শান্তি ফেরাতে পারবে ? কামদুনি জুড়ে এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
নতুন কমিটি গড়ার পর থেকেই কামদুনিতে উঠছে নানা প্রশ্ন। কামদুনি গ্রামে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রায় চার মাস অতিবাহিত। এতদিন পর হঠাত কেন পাল্টা কমিটি গড়ার দরকার হল?
শান্তিরক্ষা কমিটির নেতৃত্বে নেই গ্রামের কোনও বাসিন্দা। এমনকি কমিটির চেয়ারম্যান প্রধান শিক্ষক সিরাজুদ্দিন আহমেদও কামদুনি গ্রামের বাইরের বাসিন্দা। সিরাজুদ্দিন আহমেদেরই ছাত্রী ছিলেন ধর্ষিতা ছাত্রী। কিন্তু ঘটনার পর একবারও তাঁকে প্রতিবাদ-আন্দোলনে সামিল হতে দেখা যায়নি। শান্তিরক্ষা কমিটির কিছু সদস্য কামদুনি গ্রামের বাসিন্দা হলেও এতদিন তাঁদেরও প্রতিবাদী ভূমিকা চোখে পড়েনি।
প্রশ্ন উঠছে তাহলে এই কমিটির যৌক্তিকতা কোথায় ?
কামদুনির ঘটনার পর দিনই ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ধিক্কার দিয়ে মন্ত্রীকে কার্যত এলাকা থেকে বের করে দেন বাসিন্দারা। ভাঙচুর হয় তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের গাড়িও। এরপর এলাকার কর্তৃত্ব নিজের হাতে রাখতে সচেষ্ট হয়েছিলেন নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। কিন্তু সফল হননি।
কামদুনিকাণ্ডে বারবার যখন সরকারের মুখ পুড়েছে, তখন নির্যাতিতার পরিবারের অনটনকে সম্বল করে এলাকার ফের পা রাখতে চাইছে তৃণমূল। অন্তত কামদুনিবাসীর একাংশের এটাই অভিযোগ। তাই রবিবার বিকেলে কমিটি গড়ার পর সন্ধের মধ্যেই মৃতার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় জামাকাপড়। এমনকি চাকরির জন্য মৃতের কাকার স্ত্রীর সই সাবুদও নিয়ে যাওয়া হয় রবিবারই। ফলে প্রশ্ন উঠছে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সহানুভূতি কুড়োনোর লক্ষ্যেই কি শান্তিরক্ষা কমিটি গড়ল তৃণমূল।
First Published: Monday, September 23, 2013, 19:50