Last Updated: September 28, 2011 18:07

কেশপুরের জামশেদ আলি ভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ সিপিআইএমের এই কার্যালয়ে দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নিয়েছিল. সিপিআইএমের ওই কার্যালয় থেকে মোট পঁয়তাল্লিশ জনকে পুলিস উদ্ধার করলেও তার মধ্যে ছজনকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে।মঙ্গলবার সকালে কেশপুরের এই এলাকায় একটি গাড়ি ধরা পড়ে স্থানীয় মানুষের হাতে। অভিযোগ, ওই গাড়িতে অস্ত্র ঢোকানো হচ্ছিল. গাড়িতে কয়েকজন থাকলেও তারা পালিয়ে যায়। ধরা পড়ে যায় গাড়ি চালক।জামশেদ আলি ভবনে হামলার ঘটনা ওই অস্ত্রবাহী গাড়ি ধরা পড়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ঘটেছিল।
স্থানীয় মানুষের হাতে আটক ওই গাড়ি চালেকর বক্তব্য, তাঁকে অস্ত্র দিয়ে পাঠিয়েছিল স্থানীয় থানার ওসি. সঙ্গে আরও কয়েকজন লোক ছিল. যার মধ্যে একজন ছিল পুলিসের পোশাক পড়া।এলাকার মানুষ বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিলেন, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা চিত্ত গড়াইয়ের নেতৃত্বে এলাকা দখলের জন্য হামলা চালানো হচ্ছে. গত একমাসে বহু বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। বহু মানুষের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করা হয়েছে। বেশকিছু বাড়িতে লুটপাট এবং আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে। আহত বহু মানুষ এখনও হাসপাতালে ভর্তি। গত একুশে সেপ্টেম্বর এই ঘটনার প্রতিবাদেই স্থানীয় মানুষ একজোট হয়ে জেলার পুলিস সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এসপি-কে স্মারকলিপিও দেন। কিন্তু পুলিসের তরফে কোনও ব্যবস্থাই হয়নি বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ।এমনকী মঙ্গলবার জামশেদ আলি ভবনে হামলার ঘটনাও পুলিসের সামনেই ঘটেছিল বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য তাঁদের গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা অস্বীকার করে বলেছেন, সিপিআইএমের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের ঘটনা ঘটেছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসেরই নেতা ও কর্মীদের বক্তব্য, বিধানসভার ফল প্রকাশের পর থেকেই এলাকায় সিপিআইএম-এর কোনও অস্তিত্বই নেই।
First Published: Wednesday, September 28, 2011, 18:07