
৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় চলছে ভোটগ্রহণ৷ ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুখোমুখি কংগ্রেস, বিজেপি, আম আদমি পার্টি। রাজধানীর ক্ষমতা দখলের চ্যালেঞে্জে কংগ্রেস-বিজেপির সঙ্গে হাজির কেজরিওয়ালের দল আপ। সব মিলিয়ে এই শীতে রাজধানী ভোটের রাজনীতিতে উত্তপ্ত। রাজধানীতে চলছে ভোটগ্রহণ। পড়ুন লাইভ আপডেট-
দুপুর ২.৩০- এখনও পর্যন্ত ভোট পড়ল ৪২ শতাংশ।
দুপুর ১.১৫টা- বেলা ১টা অবদি দিল্লিতে ভোট পড়ল ৩৪ শতাংশ।
দুপুর ১২.১৫টা-দুপুর পর্যন্ত রাজধানীতে ভোটদানের হার ২৭ শতাংশ। হয়তো রেকর্ড ভোট পড়বে।
ভোট দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বাল।
দুপুর ১২টা- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত বললেন, এই ভোটে নরেন্দ্র মোদী কোনও ফ্যাক্টর হবে না।
সকাল ১১.৩০টা- বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ১১ শতাংশ।
সকাল ১১টা: প্রথম আড়াই ঘণ্টায় ভোটদানের হার দেখে মনে হচ্ছে এবার দিল্লিবাসীর ভোট দেওয়ায় মন এসেছে। নির্বাচন কমিশন এবার ভোট দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচার চালায়। সেই প্রচার কাজে আসছে। এমনিতে দিল্লিতে ভোটদানের হার খুব কম থাকে।
সকাল ১০টা ৩০: সাড়ে দশটা পর্যন্ত ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে রাজধানীতে।
সকাল ১০টা ২০: ভোট দিলেন সোনিয়া কন্যা প্রিয়াঙ্কা ও জামাই রবার্ট বঢরা।
সকাল ১০টা ১০: দিল্লির নির্মান ভবন নির্বাচন কেন্দ্রে ভোট দিলেন শীলা দীক্ষিত, সোনিয়া গান্ধী।
সকাল ৯টা ৩২: চতুর্থ বার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী শীলা দীক্ষিত বলেন, দুর্নীতির সব অভিযোগ মিথ্যা। আগের থেকেও বেশি ভোটে জিতব এবার।
সকাল ৯টা ২০: দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বেশি ভোট পড়ার আশা দেখছেন। ৪ লক্ষ নতুন ভোটার নথিভুক্ত হয়েছে রাজধানীতে।
সকাল ৯টা ১১: রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে আম আদমি পার্টির নেতা প্রশান্ত ভূষণ বলেন, অনেক বুথে আম আদমি পার্টিকে টেবিলই বসাতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ এসেছে নিউ দিল্লির আদর্শ নগর কেন্দ্র থেকে। এটা পরিষ্কার যে আম আদমি পার্টিকে টেবিল বসাতে না দেওয়ার জন্য পুলিসের কাছে নির্দেশ ছিল।
সকাল ৮টা ৫০: ভোট দিয়ে বেরিয়ে হর্ষ বর্ধন বলেন, আশা করি অধিকাংশ মানুষই ভোট দিতে আসবেন। যদি ছত্তিশগড়, রাজস্থানে এত মানুষ ভোট দিতে আসেন, তবে দিল্লিতেও নিশ্চয়ই আসবেন। জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার আশা রাখছি। আম আদমি পার্টির কোনও অস্তিত্বই নেই।
সকাল ৮টা ৪০: বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হর্ষ বর্ধন কৃষ্ণ নগর নির্বাচন কেন্দ্রে ভোট দিলেন।
সকাল ৮টা ১৫: দিল্লির হনুমান রোড নির্বাচন কেন্দ্রে ভোট দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, দিল্লির বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েল।
সকাল ৮টা ১০: আম আদমি পার্টির প্রধান কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লির জনতাকেই ঠিক করতে হবে তারা কী চায়। এটা আমার নির্বাচন নয়, দিল্লির জনতার নির্বাচন।
সকাল ৮টা: ভোট শুরু হল রাজধানীতে।
============================
এক নজরে দিল্লির ত্রিমুখী লড়াই
দিল্লিতে আজ বিধানসভা ভোট। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। মোট এগারো হাজার সাতশো ৫৩ টি ভোট কেন্দ্রে চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব। দিল্লি বিধানসভার সত্তরটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটশো দশ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নির্দল প্রার্থী ২২৪ জন। মোট ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লক্ষ। যারমধ্যে ৪ লক্ষ পাঁচ হাজারজন এবারই প্রথম নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করছেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত এই নিয়ে চতুর্থবার নির্বাচনে লড়ছেন। ৬৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। তবে এবারের নির্বাচনে নজর কেড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমির পার্টি । তারা সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। ভোটের জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লিকে। ছশো তিরিশটি স্পর্শকাতর ও অতি-স্পর্শকাতর বুথে দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজধানী জুড়ে টহল দিচ্ছে দিল্লি পুলিসের বিশেষ টিম। দিল্লি পুলিসের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে একশো সাত কোম্পানি আধা সেনা।
একের পর এক দুর্নীতি আর ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে রীতিমতো কোণঠাসা শীলাদীক্ষিত সরকার। আর তারই ফয়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু বাদ সাধছে কেজরিওয়ালের দল। মনে করা হচ্ছে, এবার আম আদমি পার্টি ভোট কাটায় বেকায়দায় পড়তে পারে প্রধান দুই যুযুধান দল। ফলে, আগামিকাল কংগ্রেস পরিচালিত দিল্লি সরকারের কার্যত অগ্নিপরীক্ষা। মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ওপরই দিল্লিবাসী ফের আস্থা রাখবেন, নাকি বিজেপির হর্ষবর্ধনের হাতে শাসনক্ষমতা তুলে দেবেন, তা জানা যাবে আটই ডিসেম্বর। ওই দিন গণনা। তবে লোকসভা ভোটের আগে দিল্লি দখলে মরিয়া কংগ্রেস-বিজেপি দুপক্ষই।
একটি সদ্যোজাত। আর তাকেই এখন রীতিমতো সমীহ করছেন দুই প্রবীণ। হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই হচ্ছে এবারের দিল্লি ভোটে। আম আদমি পার্টিই এখন চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কংগ্রেস আর বিজেপির কপালে। কার ভাগ্যে যাবে দিল্লি বিধানসভা, সেটা ঠিক করে দিতেই পারে কেজরিওয়ালের দল। আগামিকালই দিল্লিতে ভোট।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে জন্ম। বয়স মেরেকেটে একবছর। কিন্তু, সেই দলই এখন দিল্লি ভোটের অন্যতম নির্ণায়ক। আম আদমি পার্টি। এই দলকে সমীহ করছে কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই শিবিরই। কারণ, ভোট ভাগাভাগিতে কেজরিওয়ালের দলের পালে কতটা হাওয়া লাগে, তারই চুলচেরা হিসেব কষছেন দুই শিবিরের ম্যানেজাররা। প্রবল স্নায়ুর চাপে থাকলেও প্রত্যয়ের সুর দুদলেই।
কংগ্রেস যেমন শীলা দীক্ষিতের ভাল পারফরম্যান্স,ধারাবাহিক উন্নয়ন এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পকে হাতিয়ার করেছে। প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ না থাকাটাও বাড়তি সুবিধা।
তবে মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি আর নারী নিরাপত্তার মতো ইস্যু রীতিমতো তাড়া করে বেড়াচ্ছে শীলা দীক্ষিত সরকারকে। বিজেপির দাবি প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া গেরুয়া শিবিরকে ক্ষমতায় আনবে। সঙ্গে রয়েছে মোদী ম্যাজিক। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীও বিজেপির প্লাস পয়েন্ট।
কিন্তু, অন্তর্দ্বন্দ্ব? বিজয় গোয়েলকে টপকে হর্ষ বর্ধনকে প্রার্থী করায় সেই কোন্দলই এখন প্রকাশ্যে। আর শীলা দীক্ষিতের বিপরীতে হর্ষবর্ধন যে নেহাতই কমজোর প্রার্থী সেটাও ভোটের ময়দানে নেমে বুঝতে পারছে বিজেপি। কিন্তু, অরুণ জেটলি,সুষমা স্বরাজদের সবথেকে বেশি চিন্তায় রেখেছে আম আদমি পার্টি। কারণ বিজেপির আশঙ্কা সরকার বিরোধী ভোটের একটা বড় অংশে থাবা বসাতে পারে এএপি।
কিন্তু, যাদের ঘিরে এত আশঙ্কা, তারাও কি স্বস্তিতে রয়েছে? স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে সামনে রেখে তৈরি হওয়া আম আদমি পার্টির গায়ে লেগেছে নানা বিতর্কের পাঁক। একটি স্টিং অপারেশনের জেরে আরো বিপাকে এএপি। চারটি কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাগি নেতাদের প্রার্তী করার অভিয়োগ রয়েছে। আর সবথেকে বড় কথা,প্রশাসন চালানোয় কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায়, তাদের ওপর মানুষ কতটা ভরসা করবেন তা নিয়ে ধন্দে কেজরিওয়ালের দলও। তবু,আম আদমি পার্টিকেই যত ভয় কংগ্রেস আর বিজেপির।
First Published: Wednesday, December 4, 2013, 16:04