Last Updated: June 9, 2014 23:24

রাজ্যে বিজেপির শক্তি বাড়ায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী কি আস্থা রাখছেন বামেদের ওপর? সোমবার নবান্নে বাম প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই ইঙ্গিতই মিলেছে। রাজ্যে সন্ত্রাস রোধে বামেদের সঙ্গে সমন্বয়ে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির বাড়বাড়ন্তের বিষয়ে বাম নেতাদের কাছে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
রাজ্যে সন্ত্রাসের শিকার বাম কর্মীসমর্থকেরা। নিষ্ক্রিয় প্রশাসন, ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিস। দীর্ঘ দিন ধরেই এই অভিযোগ জানিয়ে আসছে বামেরা। কিন্তু এতদিন এই অভিযোগে গুরুত্ব দেননি মুখ্যমন্ত্রী। সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য সোমবারই প্রথম বাম প্রতিনিধি দলকে সময় দেন তিনি। এদিন নবান্নে বাম প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিমান বসু, ক্ষিতি গোস্বামী, মঞ্জুকুমার মজুমদারসহ অন্যান্যরা। নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে বাম নেতাদের অভ্যর্থনা জানান তিনি। ফিশ ফ্রাই, ক্রিম রোল ও চা দিয়ে আপ্যায়িত করেন তাঁদের।
শুধু আপ্যায়িতই করলেন না, দুপক্ষের আলোচনায় বামেদের সন্ত্রাসের অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দিয়েছেন সব অভিযোগ খতিয়ে দেখার। মুখ্যমন্ত্রী বাম নেতাদের বলেন, যা হচ্ছে ঠিক হচ্ছে না। স্বার্থান্বেষীরা এসব করছে। ওরা বাম শিবির ছেড়ে তৃণমূলে এসেছে। হামলা চালানো স্বার্থান্বেষীরা অন্য দলে চলে যাবে। নিউটাউন, তিলজলায় ওরাই গোলমাল করছে। পুলিসও সব সময় আমাদের কথা শুনছে না।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বামেদের সঙ্গে সমন্বয়েও জোর দিয়েছেন। আর সেকারণেই বামেদের অভিযোগ শোনার ভার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দরকারে সরাসরি তাঁকে ফোন করার কথাও বলেছেন। কিন্তু হঠাত কেন এই সমন্বয়? তাও একরকম পরিষ্কার হয়ে যায় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। রাজ্যে বিজেপির প্রভাব বাড়ায় বাম প্রতিনিধিদের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের প্রভাব পড়েছে রাজ্যেও। আপনাদের পার্টি অফিস দখল করছে বিজেপি। আপনাদের লোকেরা বিজেপিতে চলে যাচ্ছে। দল সামলান।
রাজ্যে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধিতে আশঙ্কিত হওয়ার কারণেই কি বামেদের সম্পর্কে নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী? এমনই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
First Published: Monday, June 9, 2014, 23:24