অশান্তি নয়, উন্নয়নের স্বার্থে শান্তি বজায় রাখুন, লেপচাদের পাশে নিয়ে পাহাড় থেকে মোর্চাকে বার্তা জানাল

অশান্তি নয়, উন্নয়নের স্বার্থে শান্তি বজায় রাখুন, লেপচাদের পাশে নিয়ে পাহাড় থেকে মোর্চাকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

অশান্তি নয়, উন্নয়নের স্বার্থে শান্তি বজায় রাখুন, লেপচাদের পাশে নিয়ে পাহাড় থেকে মোর্চাকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীরঅশান্তি নয়, উন্নয়নের স্বার্থে শান্তি বজায় রাখুন পাহাড়ে। লেপচাদের পাশে নিয়ে কার্সিয়ঙের সভা থেকে নাম না করে মোর্চাকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী বললেন `পাহাড়ে শান্তি আনুন, উন্নয়ন হবে। আপনাদের দার্জিলিংকে বিশ্বকে দেখাতে চাই। আপনারা শিলিগুড়ি যেতে পারেন তাহলে আমরা কেন আসব না?``

সেইসঙ্গে পাহাড়ে এই প্রথম মূলস্রোতের কোনও রাজনৈতিক দলের সম্মেলন হতে চলেছে আগামিকাল।

পাহাড়ের চেনা ছবিটা এতদিন ছিল এখানকারই কোনও সংগঠনের একছত্র আধিপত্যের। কিন্তু ছবিটা যেন অনেকটাই বদলে গেছে। পাহাড়ের রাস্তায় রাস্তায় তৃণমূলের পতাকা। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। আর সেই বদলের পিছনে কারণটা হচ্ছে একইসঙ্গে হুঁশিয়ারির এবং উন্নয়নের বার্তা

মাস দুয়েক আগেও পাহাড়ের অবস্থাটা ছিল অন্যরকম। পাহাড় জুড়ে আন্দোলন, জিটিএর কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়া, রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত।মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই স্লোগান উঠেছিল পৃথক গোর্খাল্যান্ডের। আর তখন থেকেই পরিকল্পনা মাফিক এগিয়েছে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

সেই পরিকল্পনার ফসল মিলল বুধবার। পাহাড়ে নজিরবিহীন দৃশ্য। পুলিসি ব্যবস্থা ভিত নড়িয়ে দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার। মোর্চার লাগাতার আন্দোলনে রুটিরুজি নষ্ট হয়েছে। বন্ধ হয়েছে উন্নয়ন। রাজ্যের সরকার এবং শাসক দলের জোড়া আক্রমণে তাই শেষপর্যন্ত পাহাড়ে মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলের জোড়াল উপস্থিতি। বুধবার লেপাচাদের সভা থেকেই যার সূত্রপাত। এদিন সভা থেকে একহাজারজনকে বাড়ি তৈরির জন্য একলাখ টাকা অনুদান এবং ৫২ জনকে চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি, অনুরোধ। মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন আন্দোলন নয় শান্তি ফিরলেই হবে উন্নয়ন।







First Published: Wednesday, October 23, 2013, 16:24


comments powered by Disqus