Last Updated: February 1, 2014 17:18

নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর আন্দোলনে ৪২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেও, জঙ্গলমহলের বন্দিমুক্তি নিয়ে নীরব মুখ্যমন্ত্রী। মামলা প্রত্যাহার তো দূরের কথা জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক বন্দিরা জামিন পর্যন্ত পাননি।
ক্ষমতায় আসার পরেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষায় বন্দিমুক্তি কমিটি তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। প্রায় ৩০০ বন্দির তালিকা তৈরি করে রাজ্যের কাছে মুক্তির সুপারিশ করেছিল সেই কমিটি। তারমধ্যে জামিনে মুক্তি পান মাত্র সত্তর জন। নন্দীগ্রাম কাণ্ডে সিবিআই চার্জশিট চরম অস্বস্তির মধ্যে সরকার। কারণ চার্জশিটে অভিযুক্তদের অনেকেই শাসকদলের নেতা-কর্মী। অস্বস্তি কাটাতে তড়িঘড়ি নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরের ৪২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিচ্ছে সরকার। অথচ ব্রাত্য জঙ্গলমহলের রাজনৈতিক বন্দিরা। জঙ্গলমহলে প্রায় তিনশোজন রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন, যার মধ্যে ২৭০ জনের মুক্তির সুপারিশ করে সরকারের তৈরি বন্দিমুক্তি কমিটি।
অথচ জঙ্গলমহলসহ দক্ষিণবঙ্গে প্রায় তিনশো জন বন্দি রয়েছেন যাঁদের জামিনও হয়নি। যদিও মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে আদালতের ওপর। এরাজ্যেই নজির রয়েছে শাসক দলের সমর্থক হিসাবে জোড়া মামলায় অভিযুক্তের মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার। তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক স্বার্থের প্রশ্ন উঠেছে। লোকসভা নির্বাচনে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের তুরুপের তাস তা আরও একবার বুঝিয়ে দিল শাসক দল।
সেই কারণেই নন্দীগ্রামের তিনশো তিনটি ও সিঙ্গুরের একশো বাইশটি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জঙ্গলমহলেও এই পদক্ষেপ নেওয়ার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। মামলা প্রত্যাহার তো দূরের কথা, সেখানে জামিনই পাননি কেউ।
First Published: Saturday, February 1, 2014, 17:18