Last Updated: October 8, 2011 13:29

শেষপর্যন্ত বাংলাদেশের নদীর চরে উদ্ধার হল যাদবপুরের নিখোঁজ গবেষক সুজয় দাসের দেহ। আজ সকালে সাতক্ষীরা জেলার দেভাটা এলাকায় একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এক নৌকাচালক। পরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন প্যান কার্ড দেখে জানতে পারেন দেহটি সুজয় দাসের। এরপরই সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের তরফে টাকি পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিডিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিএসএফ। সুজয় দাসের দেহটি সনাক্ত করেন তাঁর পরিবারের লোকজন । দেহটি ফিরিয়ে আনার পর বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। তারপরই তুলে দেওয়া হবে পরিবারের সদস্যদের হাতে। দশমীর দিন ইছামতীতে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান সুজয় দাস। তিনি যাদবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজিতে গবেষণা করছিলেন। দশমীর দিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইছামতী নদীতে বিসর্জন দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁরা যে নৌকায় সওয়ার ছিলেন, হঠাতই সেটিতে ধাক্কা মারে আরেকটি নৌকা। টাল সমালাতে না পেরে উল্টে যায় সুজয়বাবুদের নৌকাটি। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সুজয় দাস। উদ্ধারের কাজ শুরু হলেও শুক্রবার সারাদিন খোঁজ পাওয়া যায়নি সুজয় দাসের। শনিবার সকালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শিবনগরে নদীর চরে একটি মৃতদেহ দেখতে পান এক নৌকাচালক। দেভাটা থানায় খবর দেন তিনি। প্যান কার্ড দেখে মৃতদেহটি সুজয় দাসের বলে জানতে পারে দেভাটা থানা। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের তরফে যোগাযোগ করা হয় টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এরপরই বিডিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিএসএফ। শনিবারই বসিরহাটে ফিরিয়ে আনা হয় সুজয় দাসের দেহ। দেহটি সনাক্ত করেছেন সুজয় দাসের পরিবারের সদস্যরা।
First Published: Saturday, October 8, 2011, 15:08