Last Updated: March 1, 2014 15:12

কল্পনা এবার বাস্তবের রূপ পেল। বছর দশেক আগে মুক্তিপ্রাপ্ত "স্বদেশ`-এ শাহরুখ খান অভিনীত চরিত্র মোহন ভার্গবের স্বপ্নের প্রকল্প এবার সত্যি করল নাসা। পৃথিবীর বৃষ্টি আর তুষারপাতের সম্পর্কে বিস্তারিত হদিশ পেতে মহাকাশে পাড়ি দিল গ্লোবাল প্রেসিপিটেশন মেজারমেন্ট কোর অবজারভেটারি। জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই নাসার এই প্রকল্প।
আশুতোষ গায়কোয়াড়ের ছবি স্বদেশ-এর এনআরআই মোহন ভার্গব। নাসার গ্লোবাল প্রেসিপিটেশন মেজারমেন্ট প্রকল্পের বিজ্ঞানী। তিনিই পৌছে গিয়েছিলেন ভারতের এক অখ্যাত গ্রামে।
কল্পনার মোহন ভার্গবের চরিত্রের স্বপ্নকে সফল করল নাসা। জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে। জাপানের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে পাড়ি দিল গ্লোবাল প্রেসিপিটেশন মেজারমেন্ট কোর অবজারভেটারি।
কেন জিপিএমও-র মহাকাশ যাত্রা? সে কথা তো বছর দশেক আগেই মোহন ভার্গব শুনিয়েছিলেন স্বদেশে। সিনেমার ডায়লগে তুলে ধরেছিলেন বিশ্বজোড়া জল সঙ্কটের সময় এই প্রকল্পের গুরুত্বের কথা। নাসার বিজ্ঞানীরাও বলছেন একই কথা। এই প্রকল্পের সাহায্যে প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর আবহাওয়া সম্পর্কে ধারণা আরও স্পষ্ট হবে। আরও স্বচ্ছ হবে পূর্বাভাস। বিশেষ করে বৃষ্টি আর তুষারপাত সম্পর্কে। বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। আর এর ফলেই গোটা বিশ্বের জলসম্পদ নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে নীতি নির্ধারকদের।
তবে এমন উদ্যোগ কিন্তু প্রথম নয়। ১৯৯৭ সালে ট্রপিকাল রেনফল মেজারমেন্ট মিশন শুরু করে নাসা। সেই প্রকল্প এখনও চলছে। এবার উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত নাসার গ্লোবাল প্রেসিপেটরি মেজারমেন্ট অবজারভেটরি। দুহাজার ছয় সালে এই প্রকল্পের কাজ আরম্ভ করে নাসা। স্বদেশ তৈরির অন্তত বছর দুয়েক পর।
First Published: Saturday, March 1, 2014, 15:15