Last Updated: December 24, 2012 08:39

গণধর্ষণকাণ্ডের একসপ্তাহ পর অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনার জেরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ যুক্তিসঙ্গত বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখারও আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, ধর্ষণকারীদের শাস্তি ও মামলার দ্রুত বিচারের দিকগুলি খতিয়ে দেখতে বর্তমান আইন পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই মর্মে গতকাল রাতেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র।
সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ না বিরোধীদের প্রবল সমালোচনা। কারণ যাই হোক। গণধর্ষণকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর এনিয়ে নীরবতা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী। চলন্ত বাসে তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনা মানুষের মনে যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে তা যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করেন তিনি। তবে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ যেভাবে ঘটছে, এবং তার জেরে পুলিস ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মনমোহন সিং। এই পরিস্থিতিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের প্রেক্ষিতে দাবি উঠেছে এ সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের। মামলার দ্রুত বিচার ও অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে উত্তাল গোটা দেশ। সাধারণ মানুষের দাবিতে গলা মিলিয়েছে বিজেপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। সম্মিলিত চাপের মুখে শেষপর্যন্ত আইন পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত আইন পর্যালোচনার জন্য গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। এই কমিটি একমাসের মধ্যে সরকারকে রিপোর্ট দেবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁদের প্রস্তাবমতো এরপর সরকার আইনে সংশোধনী আনার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এদিকে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিসের দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তাল রাজধানী। সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন সুভাষ টোমার নামে দিল্লি পুলিসের এক কনস্টেবল। ইন্ডিয়া গেটের সামনে বিক্ষোভকারীদের হাতে রোষের মুখে পড়েন তিনি। ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে ওই কনস্টেবলকে।
কিন্তু, বিক্ষোভ সামলাতে পুলিসের ভূমিকা কি সঠিক ছিল? অস্বস্তিতে পড়ে শেষপর্যন্ত পুলিসের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। দিল্লি পুলিস অবশ্য কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ। সোমবারও বন্ধ রাখা হচ্ছে ইন্ডিয়া গেট সংলগ্ন সাতটি মেট্রো স্টেশন।
First Published: Monday, December 24, 2012, 12:06