Last Updated: March 26, 2012 21:48

নরওয়ের `চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সার্ভিস` কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকা দুই বাঙালী শিশু অভিজ্ঞান ও ঐশ্বর্যকে তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জেনস স্টোলেনবার্গের সঙ্গে আলোচনা করলেন মনমোহন সিং। এদিন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনের অবসরে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন ৭ রেসকোর্স রোডের বাসিন্দা। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী আইনি চৌহদ্দির মধ্যে থেকেই দুই শিশুকে ভারতে পাঠানোর বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মনমোহন সিংকে।
সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে অনুরূপ ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীর সাগরিকার মানসিক সমস্যা রয়েছে। এমনকি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানিয়েছিলেন অনুরূপ। এর পরই নরওয়ে কর্তৃপক্ষ দুই শিশুকে তাদের কাকা অরুণাভাস ভট্টাচার্যর হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করে। ভট্টাচার্য পরিবারের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনের খবর প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় `সাউথ ব্লক`ও। এই পরিস্থিতিতে এদিন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনাকে যথেষ্ট ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেছেন ভারতের বিদেশসচিব রঞ্জন মাথাই।

সোমবার পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনের অবসরে দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প ও বণিকর মহলের একটি আলোচনাসভাতেও যোগ দেন মনমোহন সিং। প্রত্যাশিতভাবেই সেখানে উঠে আসে পস্কো বিতর্ক। ওড়িশার জগত্সিংপুরে ২০০৫ সালে ২২,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এশিয়ার বৃহত্তম ইস্পাতপ্রকল্প গড়ার জন্য চুক্তি করার পর জমি সমস্যায় নাজেহাল হতে হয় দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প গোষ্ঠী `পস্কো`কে। এই পরিস্থিতিতে স্বভাবতই কিছুটা অস্বস্তিতে নয়াদিল্লি। এদিন দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পমহলের মুখোমুখি হয়ে এ ব্যাপারে আরও `ধৈর্য ধরার` আবেদন জানান মনমোহন সিং। সেই সঙ্গে দাবি করেন, ভারতে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে তাঁর সরকার।
First Published: Monday, March 26, 2012, 21:48