Last Updated: December 17, 2012 09:10

হাফিজ সইদ নিয়ে আরও তথ্যপ্রমাণ দিতে হবে নয়াদিল্লিকে। তিনদিনের ভারত সফরে এসে মুম্বই সন্ত্রাস ইস্যুতে এভাবেই ভারতকে হতাশ করে গেলেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক। এখানেই শেষ না। আশ্চর্যজনকভাবে আবু জুন্দালের সঙ্গে আশ্চর্যজনকভাবে জড়িয়ে দিলেন ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার নাম। পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর বক্তব্যকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রেহমান মালিকের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপিও।
পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর বক্তব্যেই কার্যত স্পষ্ট, মুম্বই সন্ত্রাসের অন্যতম চক্রীর বিষয়ে ঠিক কতটা গুরুত্ব দিতে চায় ইসলামাবাদ। ছাব্বিশ এগারোর পর থেকে একাধিকবার হাফিজ সইদের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত। এমনকি লস্কর-এ-তৈবার প্রতিষ্ঠাতাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়ে এসেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু, এই ইস্যুতে কার্যত একপাও এগোয়নি পাকিস্তান। তাই মুম্বই সন্ত্রাস নিয়ে ভারতের জন্য কয়েকটি শুকনো প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর তেমন কিছুই দিয়ে গেলেন না পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক। এখানেই শেষ না। আবু জুন্দালের সঙ্গে নয়াদিল্লির নাম জুড়ে দিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়ে গেলেন তিনি। রেহমান মালিকের মতে, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার হয়েই কাজ করতো জুন্দাল। পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরাও।
কিন্তু, শান্তির বার্তা নিয়ে ভারত সফরে এসে কেন মুম্বই সন্ত্রাস ইস্যুতে ভারতকে হতাশ করলেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী? কূটনৈতিক মহলের অনুমান, দেশের মাটিতে আগামী বছরের নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এই সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন রেহমান মালিক। দুদেশের ভিসা নীতির সরলীকরণ বা বাণিজ্যক্ষেত্রকে প্রসারিত করে ভোটব্যঙ্ককে মজবুত করা আর পাকিস্তানের মাটিতে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলিকে তুষ্ট করাই ছিল এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য।
First Published: Monday, December 17, 2012, 10:33