Last Updated: November 18, 2011 20:00

জনৈক বিচারক ও বার অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে বিবাদের জেরে কাজ বন্ধ করে দিলেন শিয়ালদা কোর্টের আইনজীবীরা। দিনভর SEIZE WORK করেন তাঁরা। বিচারক বিপ্লব রায়ের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত্ সহ পুলিসকে কাজে লাগিয়ে কোর্ট চত্বরের ভিতরে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। গতকাল রাতের অন্ধকারে বেআইনিভাবে এই ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ফ্যাক্স করা হয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। জবাব আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শিয়ালদা কোর্ট চত্বর বেআইনি দখলদার মুক্ত করার কাজ চালায় পুলিস। মূলত বাইরে যে সব দোকান ছিল, সেগুলি সরানোই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু পুলিস নাকি আদালতের ভিতরে ঢুকেও ভাঙচুর চালিয়েছে। এই অভিযোগ তুলেছে শিয়ালদা কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, শিয়ালদা কোর্টেরই SCC কোর্টের বিচারক বিপ্লব রায় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে একাজ করিয়েছেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, উনিশশো বিরানব্বই সালে যখন শিয়ালদা কোর্টের নতুন ভবন তৈরি হয় তখন পুরনো ভবনে যে সব স্টলের মালিকরা ছিলেন, তারাও এই নতুন জায়গায় উঠে আসেন। হাইকোর্টের লাইসেন্স নিয়েই, বার অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বে কোর্টের ভিতরে ব্যবসা করছিলেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও রাতের অন্ধকারে পুলিস কেন ওই দোকানগুলি ভাঙল, সে প্রশ্নের জবাব দাবি করেছেন তাঁরা। এমনকি বার অ্যাসোসিয়েশনের ক্যান্টিন এবং কয়েকটি ঘরের জল এবং আলোর সংযোগও কেটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কোর্ট চত্বরের ভিতরে ঢুকে পুলিস ভাঙচুর চালালেও, কোর্ট চত্বরের গায়ে যে বেআইনি চোলাইয়ের ঠেক রয়েছে তাতে পুলিস হাত পর্যন্ত ছোঁয়ায়নি বলে অভিযোগ আইনজীবীদের।
First Published: Friday, November 18, 2011, 20:00