সিঙ্গুর রায়ের চাপান উতোর

সিঙ্গুর রায়ের চাপান উতোর

সিঙ্গুর রায়ের চাপান উতোরসিঙ্গুর মামলায় রায় যেভাবে রাজ্য সরকারের পক্ষে গেছে তাতে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের রায়কে তিনি ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন। যদিও বিরোধী দলনেতা
সূর্যকান্ত মিশ্র মনে করছেন, আদালতের এই রায়ের পরেও জমি বন্টনের ক্ষেত্রে জটিলতা কাটছে না। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে সরকারের পক্ষে জমি ফেরত সম্ভব হবে না।

সিঙ্গুরের রায় বেরোনর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ""এই জয় মা মাটি ও মানুষের জয়। সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়াটাই এখন সরকারের মূল লক্ষ্য। ক্ষেত মজুরের সাহায্য করাই হবে সরকারে
কাজ। সিঙ্গুরের মানুষের কাছেও আজ একটা ঐতিহাসিক দিন``। আদালত টাটা কর্তৃপক্ষের হাত থেকে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টিকে আইনি বৈধতা দিয়েছে। একইসঙ্গে রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে ২ নভেম্বর পর্যন্ত
স্থগিতাদেশও জারি করেছে। কাজেই জমি ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আগামী এক মাস সিঙ্গুরের মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে। এরমধ্যে যদি টাটারা নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়, ফেরতের প্রক্রিয়াটি আরও দীর্ঘায়িত হবে।

সিঙ্গুরের কৃষককে জমি ফেরত দেওয়ার বিষয়টি খুব সহজ হবে বলে মনে করছেন না বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। যেভাবে ইচ্ছুক, অনিচ্ছুক কৃষকদের মধ্যে ছেদ টানা হয়েছে তাতে প্রক্রিয়াটি আরও জটিল হয়েছে
বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ""পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে জমি ফেরত দেওয়া সম্ভব হবে না। আমরা এখনও মনে করি রাজ্য সরকারের সিঙ্গুর আইন অসাংবিধানিক। আইনের চোখে
ইচ্ছুক অনিচ্ছুক এই বিভেদ কখনই থাকতে পারে না। এটা সংবিধান বিরোধী। এরপর টাটারা উচ্চ আদালতে যেতে পারে। স্বেচ্ছায় যাঁরা কারখানার জন্য জমি দিয়েছিলেন তাঁরাও আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।
সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। তবে টাটাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যে রায় ঘোষিত হয়েছে তার বিরুদ্ধেও সরকারের উচিত আদালতের কাছে আবেদন করা। কারণ টাটারাই চুক্তি ভঙ্গ করেছে। সেক্ষেত্রে
টাটাদেরই উচিত ক্ষতিপূরণ দেওয়া। বামফ্রন্ট সরকারও সেই পদক্ষেপই নিয়েছিল``।

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর বক্তব্য, আদালতের এই রায় চূড়ান্ত নয়।

First Published: Wednesday, September 28, 2011, 18:31


comments powered by Disqus