Last Updated: January 15, 2014 17:12

আজ তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সোমেন মিত্র। তৃণমূল ছেড়ে তাঁর কংগ্রেসে যোগদান একরকম পাকা। গত ৫ জানুয়ারি হুগলির বৈদ্যবাটিতে কংগ্রেসের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হন সোমেন মিত্র। সেখানেই ১৫ জানুয়ারি তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গে মতবিরোধের কারণে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন সোমেন মিত্র। তৈরি করেছিলেন প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস। কার্যত খাতায় কলমে ছিল সেই দল।
২০০৯ এর লোকসভা ভোটে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস তৃণমূলে মিশে যায়। দু-তিন বছর মোটামুটি ঠিকই চলছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেও নিজের একটি সত্তা বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছিলেন সোমেন মিত্র। তা নিয়ে সংঘাত শুরু হয়। শিখা মিত্রের ঘটনায় তা সামনে আসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কংগ্রেস ছেড়েছিলেন,তখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোমেন মিত্র। মূলত সোমেন মিত্রের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সেই সোমেনকেই দলে টেনে সবচেয়ে বড় চমক দেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল ঝড়ে রাজ্যে কংগ্রেস এখন ছত্রভঙ্গ। কংগ্রেসের ঘর ভেঙে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রায় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই স্রোতের উল্টোদিকে গিয়ে এবার তৃণমূল ছাড়লেন সোমেন মিত্র।
পাঁচবছরের মধুচন্দ্রিমা শেষ করে তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়ার আগে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন সোমেন। তৃণমূলের প্রতি মোহভঙ্গের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন সোমেন মিত্র। তাঁর অভিযোগ, "বদলার রাজনীতি করছে তৃণমূল।" তাঁর তৃণমূল ছাড়া প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, ``কংগ্রেসে এবার ফিরছেন বাঘ। সোমেন মিত্র ফেরায় দল আরও শক্তিশালী হবে।``
সোমেন মিত্রকে নিয়ে অধীর চৌধুরীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করল তৃণমূল কংগ্রেস। সোনালী গুহর মন্তব্য, সাংসদ হিসেবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সোমেন মিত্র। তৃণমূল কংগ্রেসে কোনও বাঘ নেই।
First Published: Wednesday, January 15, 2014, 17:12