Last Updated: September 11, 2012 19:11

আজ থেকে ১১ বছর আগে নিউ ইয়র্কের আকাশছোঁয়া স্কাইলাইন থেকে মুছে গিয়েছিল টুইন টাওয়ার। প্রায় দেড় বছর আগে সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছে সেই হামলার চক্রান্তকারী ওসামা বিন লাদেনের দেহ। কিন্তু আজ এক দশক পার করেও গ্রাউন্ড জিরোর সেই ক্ষতস্থান একই রকম টাটকা। আল কায়দার আতঙ্ক থেকেও মুক্ত হতে পারেনি আমেরিকা। পাকিস্তানে অ্যাবটাবাদে মার্কিন অভিযানে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পরই আল কায়দার সংগঠনে বড়সড় ভাঙন ধরাতে পেরেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একের পর এক শীর্ষস্থানীয় নেতার মৃত্যুতে পচন ধরেছিল আল কায়দার মেরুদণ্ড। কিন্তু রক্তবীজের মতই কখনও সোমালিয়া, কখনও ইয়েমেন বা সুদান বা কখনও নেহাতই ছোট কোনও আফ্রিকার শহরে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে আলকায়দার নতুন নতুন মুখ। নাইন ইলেভেনের পর এক দশক পার করেও এই চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্রকে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই নিউ ইয়র্কের গ্রাউন্ড জিরো, পেনসিলভানিয়ার শ্যাঙ্কসভিল ও পেন্টাগনের সামনে সেদিনের হামলায় নিহত তিনহাজার মানুষের স্মরণে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। ফুল, মোমবাতি আর গানের সুরে ফিরে আসে এগারো বছর আগের অভিশপ্ত সকাল। দু`দুটো যাত্রীবাহী বিমানের ধাক্কায় গুঁড়িয়ে গিয়েছিল আমেরিকার গর্বের প্রতীক ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুটো টাওয়ার। পেন্টাগনে আছড়ে পড়েছিল ছিনতাই হওয়া তৃতীয় বিমানটি। আর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনোর আগেই যাত্রীরা নিজেদের জীবন দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিল ফ্লাইট নাইনটিথ্রির মারণ উড়ান। এগারোই সেপ্টেম্বরের সেই সকালের পর থেকেই উত্তর আধুনিক দুনিয়ার চেহারাটা পাল্টে গিয়েছিল রাতারাতি। সেই বদলে যাওয়া বিশ্বেই ফিরে এল আরও একটা নাইন ইলেভেন।
First Published: Tuesday, September 11, 2012, 19:18