Last Updated: Wednesday, November 14, 2012, 10:33
ব্যক্তিগত জীবনে ওসামা বিন লাদেন খুব সাবধানি ছিলেন। ইন্টারনেট কিম্বা মোবাইল তো দুরস্ত, গোপনীয়তা বজায় রাখতে টেলিফোন পর্যন্ত ব্যবহার করতেন না আলকায়দা সুপ্রিমো। বাইরের জগতের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যম ছিল দূত। লাদেনের খুব ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাই দূত হিসেবে কাজ করতেন। দূত মারফতই সংগঠনের অন্যান্য নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। এমনকি কোনও নির্দেশ পাঠানোর ক্ষেত্রেও ওসামার ভরসা ছিল দূত। অন্যের বার্তাও লাদেনের কাছে পৌঁছত সেই দুত মারফতই। এতদিন এ ধারণাই ছিল মার্কিন গোয়েন্দাদের। ২০১১-র ২ মে ভোররাতে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি কম্যাণ্ডোদের গোপন অভিযানে মৃত্যু হয় আলকায়দা প্রধানের। তারপর থেকে ওসামার গোপন ডেরায় তল্লাসি চলে মার্কিন এবং পাক গোয়েন্দাদের। তখনই জানা গিয়েছিল, লাদেনের বাড়িতে কোনও ইন্টারনেট কিম্বা মোবাইল সংযোগ ছিল না। ছিল না যোগাযোগের অত্যাধুনিক অন্য কোনও মাধ্যম। বরং টিভি এবং ভিডিও দেখেই স্বপরিবারে নিরাপদ আশ্রয়ে সময় কাটাতেন লাদেন।