Last Updated: April 29, 2014 23:36
লাগাতার সংঘর্ষ, হামলা, সন্ত্রাসের অভিযোগ সত্ত্বেও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোটের বহু অতি-স্পর্শকাতর বুথে এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখাই নেই। বহু জায়গায় শুধু রাজ্য পুলিস মোতায়েন। এই অবস্থায় কী করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
বুধবার ভোট। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আশ্বাস সত্ত্বেও কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোটের বহু অতি-স্পর্শকাতর বুথে এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখাই নেই। কেতুগ্রামের ১ থেকে ১১, ৩৩ থেকে ৩৭, ৪৮ থেকে ৫৬, ৫৯ থেকে ৬১, ৬৩ থেকে ৬৯, ৭২ থেকে ৭৪, ৮২ থেকে ৯৩, ১০২ থেকে ১২৫, ১৩৪ থেকে ১৪০ চল্লিশ নম্বর বুথে এখনও আধাসামরিক বাহিনী নেই বলে অভিযোগ এনেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
একই ছবি মঙ্গলকোটের সাতাশ নম্বর বুথে। ৩৪ থেকে ৩৬, ৩৮, ৪৬, ৫০, ৫২ থেকে ৫৫, ৫৯, ৬৪ থেকে ৭৬, ৮২, ৩০, ২৫ থেকে ৮৯, ৯২ থেকে ৯৬, ১০৪, ১০৬, ১০৭, ১৩৩ থেকে ১৩৬, ১৩৮, ১৩৯, ১৪১, ১৪২, ১৪৮ থেকে ১৫১, ১৫০, ১৬৬ থেকে ১৬৮, ২১৮, ২২২, ২২৩, ২৫৫ থেকে ২৬০, ২৭২, ২৭৩ নম্বর বুথেও দেখা নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর।
এই অবস্থায় কী করে এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। শাসক দলের সন্ত্রাসের জন্যই পঞ্চায়েত ভোটে মঙ্গলকোটে এজেন্ট দিতে পারেনি বলে সিপিআইএমের অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটেই কেতুগ্রাম-১-এ প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। তৃণমূল এখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল। হুগলির ছটি বিধানসভা কেন্দ্রের ছবিও এক। গোঘাটের দুশো আটাত্তরটি বুথের মধ্যে মাত্র বাহান্নটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন কতটা অবাধ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
First Published: Tuesday, April 29, 2014, 23:36