Last Updated: September 30, 2011 20:33

ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে নারাজ আলি আব্দুল্লা সালে। তাঁর বিরোধীদের যদি ভোটে লড়ার অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন সালে। চিকিত্সার জন্য তিন সপ্তাহ বিদেশে কাটিয়ে গত সপ্তাহেই ইয়েমেনে ফিরেছেন প্রেসিডেন্ট সালে। তাঁর অপসারণের দাবিতে উত্তাল গোটা দেশ। বিভিন্ন শহরে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। সেনাবাহিনীর প্রথম সারির কর্তারা যোগ দিচ্ছেন বিদ্রোহী শিবিরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লা সালেকে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছিল উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলি। তার বদলে তাঁকে দেওয়া হবে "সেফ প্যাসেজ"। কিন্তু ওই সমঝোতা করতে এখনও রাজি নন আলি আব্দুল্লা সালে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন,বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের অর্থ সামরিক অভ্যূত্থানকে সমর্থন করা। তা তিনি হতে দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন সালে । তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ জেনারেল আলি মোহসিন অল আহমার সম্প্রতি বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। ইয়েমেনে প্রচণ্ড জনপ্রিয় ওই সেনাকর্তার শিবির-বদল চিন্তায় রেখেছে প্রেসিডেন্ট সালেকে। ইস্তফার প্রস্তাব সম্পর্কে তাঁর দাবি,বিরোধীদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিলে তারাই হবে দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। তখন ইয়েমেনেগৃহযুদ্ধ বেধে যাবে ।জুন মাসে বিদ্রোহীদের হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন সালে। গোলার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। সৌদি আরবে তিন মাস চিকিত্সা চলেছে প্রেসিডেন্ট সালের। সেই ক্ষতচিহ্ন এখনও রয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিকরা। সাক্ষাত্কারের সঙ্গে আলি আব্দুল্লা সালের কোনও ক্লোজ আপ ছবি প্রকাশ করা হয়নি।
First Published: Friday, September 30, 2011, 20:33