Last Updated: October 7, 2011 21:50

এখনও দূর হয়নি বন্যার ক্ষত। এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফেরেনি উত্তর কোরিয়া। গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি ভয়াবহ। নষ্ট হয়েছে ফসল। ভেঙেছে ঘরবাড়ি, স্কুল। সমস্যায় পড়েছেন গরীব কৃষকরা। কয়েকমাসের টানা বৃষ্টির পর চরম কষ্টে দিন কাটছে শিশুদের। ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা। অভাব দেখা দিয়েছে পানীয় জলের। কমেছে রেশনে বরাদ্দ।
জুলাইয়ের বন্যায় কৃষি প্রধান দক্ষিণ হাওয়ানঘায়েই অঞ্চলে মাইলের পর মাইল জমির ফসল নষ্ট হওয়ায়
দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় আঘাত লাগার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বন্যার জেরে বহু মানুষ এখনও ঘরছাড়া।
খোলা জায়গায় তাঁবুর ভিতর দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। সামনেই কঠিন শীত। তার আগে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আবহাওয়ার উন্নতি হলেও নির্মাণ সামগ্রীর অভাবে ব্যাহত হচ্ছে কাজ। ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গত জুলাই মাস থেকে এখনও পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় আটষট্টি জনের মৃত্যু হয়েছে। রেড ক্রসের হিসাব অনুযায়ী এক লক্ষ চৌত্রিশ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা চাষে। ভেঙেছে দশ হাজার বাড়ি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়া
ও পরমাণু কর্মসূচির জেরে অবরোধের মুখে পড়ে ইতিমধ্যেই খাদ্যের জন্য সাহায্য চেয়েছে
উত্তর কোরিয়া সরকার।
First Published: Friday, October 7, 2011, 22:57