বিধানসভায় পাস হলেও চিটফান্ড নিয়ন্ত্রন বিলে স্বচ্ছতার অভাব দেখছে বিরোধীরা

বিধানসভায় পাস হলেও চিটফান্ড নিয়ন্ত্রন বিলে স্বচ্ছতার অভাব দেখছে বিরোধীরা

আট মাসের মধ্যে পরপর দুবার চিটফান্ড নিয়ন্ত্রণে বিল আনলো রাজ্য সরকার। সারদা কেলেঙ্কারির পর এপ্রিল মাসে যে বিল আনে রাজ্য, তা খারিজ করে দিয়ে আজ ফের নতুন বিল আনা হয়েছে বিধানসভায়। সর্বসম্মতভাবে বিধানসভায় বিল পাস হয়েছে। তবে বিরোধীদের দাবি, এই বিলে রয়ে গিয়েছে স্বচ্ছতার অভাব।

চিটফান্ড নিয়ন্ত্রণে বাম আমলেই বিল এসেছিল বিধানসভায়। সে বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরই চিটফান্ড নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিল আনে রাজ্য সরকার। সে বিলটিও পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। কিন্তু কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি দফতর থেকে বিল নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, রাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে বিলটি আনতে নির্দেশ দিয়েছে। আগের বিলটির তুলনায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে নয়া বিলে। যার মাধ্যমে ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের দাবি।

নয়া বিলে, প্রথমত, প্রতারকদের জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সেবি ও আরবিআইয়ের পাশাপাশি রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানি এ ধরনের সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। জালিয়াতি হলে চিটফান্ড কারবারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে যাঁরা ঋণ নিয়েছে, ঋণ পরিশোধ না করলে তাদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের দাবি, এই ধরনের সংশোধনী আনায় সরকারের হাত আরও শক্ত হবে। তবে এই বিল নিয়ে আশঙ্কায় বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, চিটফান্ড কারবারীদের জন্য সময় কিনে দিতেই সরকারের এই উদ্যোগ।


First Published: Thursday, December 12, 2013, 23:20


comments powered by Disqus