Last Updated: September 22, 2013 21:25

কামদুনিতে পাল্টা মঞ্চ গড়ল তৃণমূল। আজ মধ্যমগ্রামে জেলা তৃণমূল দফতরে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বললেন, কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের পিছনে আছে সিপিআইএমের মদত। তাই পাল্টা হিসেবে শান্তি রক্ষা কমিটির পাশে থাকবে সরকার।
কামদুনিতে শান্তি কমিটি গড়লেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর মধ্যমগ্রামে তৃণমূল দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে সে কথা ঘোষণাও করে দিলেন খাদ্যমন্ত্রী।
কামদুনিতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে সরব হন গ্রামের বাসিন্দারা। বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মুখ্যমন্ত্রীকেও। তনের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে তৈরি হয় কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চ। কিন্তু সেই মঞ্চের সদস্যরা নাকি নির্যাতিতার পরিবারকে সামনে রেখে ভিআইপি সাজার চেষ্টা করছেন। এমনই অভিযোগ নতুন তৈরি শান্তিরক্ষা কমিটির সভাপতি কামদুনি প্রাইমারি স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শেখ সিরাজুদ্দিন আহমেদের।
শান্তিরক্ষা কমিটির দাবি, ঘটনার এতদিন পরেও নির্যাতিতার পরিবারের পাশে নেই কেউ। সকলেই ব্যস্ত ফায়দা তুলতে।
প্রতিবাদী মঞ্চের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, নির্যাতিতার পরিবারকে সামনে রেখে ভিআইপি হচ্ছেন প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরা।
প্রতিবাদী মঞ্চের ডাকেই একসময় সরকারের দেওয়া সাহায্যও নিতে অস্বীকার করেন নির্যাতিতার পরিবার।
প্রতিবাদী মঞ্চের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দাবি, ওটা মাওবাদীদের মঞ্চ।
তাই সরকারকে যে শান্তিরক্ষা কমিটির সঙ্গে রয়েছেন সেকথাও আখেরে বুঝিয়ে দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
এদিকে কামদুনি মামলার শুনানি নিয়ে নির্যাতিতার ভাইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে নগর দায়রা আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ সেপ্টেম্বর।
সুটিয়ায় গণধর্ষণ কাণ্ডের পর বরুণ বিশ্বাসদের গড়া প্রতিবাদী মঞ্চের পাল্টা মঞ্চ বানিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নাম ছিল শান্তি কমিটি। তারপরেও অশান্তি এড়ানো যায়নি। খুন হন প্রতিবাদী মঞ্চের সম্পাদক বরুণ বিশ্বাস। এবার জ্যোতিপ্রিয়র টার্গেট কামদুনি।
First Published: Sunday, September 22, 2013, 21:25